অনলাইন ডেস্ক।।
ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নিজস্ব রিসোর্ট “ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রিন পার্ক” থেকে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তাকে আটক করা হয়। নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারের পর শামসুদ্দোহাকে আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশের সাবেক এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দুর্নীতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত ছিলেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন নদী খনন প্রকল্পের টেন্ডার থেকে কমিশন আকারে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া, নদী দখল করে গড়ে তোলা শিল্পকারখানার মালিকদের কাছ থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। এসব অবৈধ আয় দিয়ে তিনি নবাবগঞ্জে শতাধিক বিঘা জমির উপর খামারবাড়ি গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েক শত কোটি টাকা।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যেই শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা-এর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে মোট ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদ গোপন ও অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান থাকাকালীন শামসুদ্দোহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে বিপুল অর্থ আয় করেন। এই অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সন্দেহজনক উৎস থেকে আসা অস্বাভাবিক লেনদেনে জমা করা হয়। তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে নিজের সম্পদের উৎস ও মালিকানা গোপন করার চেষ্টা করেছিলেন।
এছাড়া, দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ গোপন এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করার প্রমাণ মেলে। দুদকের অনুসন্ধানে আরও ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক আইন, ২০০৪ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইভাবে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদ গোপন এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার অজ্ঞাত আয়ের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সম্পাদক ওপ্রকাশক: মো: আব্দুর রহমান। +88 01954-105871
বার্তা-সম্পাদক: মো: ইব্রাহিম হোসেন। +8801888105799
E-mail : padmanews1@gmail.com