চুয়াডাঙ্গা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি শুরু

Padma Sangbad

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["default"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"addons":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

মোঃ আব্দুর রহমান অনিক ।।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হল্ট স্টেশনে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেসের নিয়মিত যাত্রাবিরতি আজ থেকে শুরু হয়েছে। বুধবার গভীর রাত পেরিয়ে ২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি প্রথমবারের মতো যাত্রাবিরতি করলে দর্শনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়। এ উপলক্ষে প্ল্যাটফর্মজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

দর্শনা হল্টে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৭২৫ নম্বর ট্রেনটির থামার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা ট্রেনের লোকোমোটিভচালক, পরিচালকসহ সকল স্টাফকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় এবং তাদের হাতে রাতের খাবার তুলে দেওয়া হয়। দর্শনাবাসীর আনন্দে শরীক হতে পেরে তারাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। আয়োজকরা ১ম দিনের সকল যাত্রীকেও ফুল ও খাবার দিয়ে বরণ করে নেয়। পূর্বে দুই মিনিট যাত্রাবিরতির কথা থাকলেও প্রথম দিন ট্রেনটি প্রায় ১০ মিনিট অবস্থান করে। এরপর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে রেল মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের এই যাত্রাবিরতির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়। এই যাত্রাবিরতি কার্যকর হওয়ায় দর্শনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজারো মানুষের রাজধানীমুখী যাতায়াতের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় যাত্রীরা তাদের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। মনোয়ারা খাতুন নামে এক যাত্রী বলেন, এখনও স্বপ্ন মনে হচ্ছে। দর্শনা থেকে রাতে সরাসরি ঢাকায় ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক।

আরেক যাত্রী আসাদুল্লাহ মুয়াজ জানান, এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। রাতে দর্শনা হল্ট স্টেশনে যাত্রাবিরতির ফলে মানুষের সুবিধা যে কতটা বেড়েছে, তা বলে বোঝানো যাবে না।

বহুদিনের আন্দোলন ও দাবির পর অবশেষে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি চালু হওয়ায় দর্শনা অঞ্চলে স্বস্তি ও আনন্দের সঞ্চার হয়েছে। এ উদ্যোগ এলাকাবাসীর কাছে এক নতুন দিগন্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আপডেট : ০১:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি শুরু

আপডেট : ০১:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

মোঃ আব্দুর রহমান অনিক ।।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হল্ট স্টেশনে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেসের নিয়মিত যাত্রাবিরতি আজ থেকে শুরু হয়েছে। বুধবার গভীর রাত পেরিয়ে ২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি প্রথমবারের মতো যাত্রাবিরতি করলে দর্শনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়। এ উপলক্ষে প্ল্যাটফর্মজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

দর্শনা হল্টে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৭২৫ নম্বর ট্রেনটির থামার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা ট্রেনের লোকোমোটিভচালক, পরিচালকসহ সকল স্টাফকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় এবং তাদের হাতে রাতের খাবার তুলে দেওয়া হয়। দর্শনাবাসীর আনন্দে শরীক হতে পেরে তারাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। আয়োজকরা ১ম দিনের সকল যাত্রীকেও ফুল ও খাবার দিয়ে বরণ করে নেয়। পূর্বে দুই মিনিট যাত্রাবিরতির কথা থাকলেও প্রথম দিন ট্রেনটি প্রায় ১০ মিনিট অবস্থান করে। এরপর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে রেল মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে দর্শনা হল্ট স্টেশনে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের এই যাত্রাবিরতির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়। এই যাত্রাবিরতি কার্যকর হওয়ায় দর্শনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজারো মানুষের রাজধানীমুখী যাতায়াতের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় যাত্রীরা তাদের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। মনোয়ারা খাতুন নামে এক যাত্রী বলেন, এখনও স্বপ্ন মনে হচ্ছে। দর্শনা থেকে রাতে সরাসরি ঢাকায় ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক।

আরেক যাত্রী আসাদুল্লাহ মুয়াজ জানান, এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। রাতে দর্শনা হল্ট স্টেশনে যাত্রাবিরতির ফলে মানুষের সুবিধা যে কতটা বেড়েছে, তা বলে বোঝানো যাবে না।

বহুদিনের আন্দোলন ও দাবির পর অবশেষে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি চালু হওয়ায় দর্শনা অঞ্চলে স্বস্তি ও আনন্দের সঞ্চার হয়েছে। এ উদ্যোগ এলাকাবাসীর কাছে এক নতুন দিগন্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।