চুয়াডাঙ্গা ১১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথাই বলেননি প্রধান উপদেষ্টা’

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেননি বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, যিনি প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতকারটি অনুবাদ করেছেন, সেখানে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা কখনই বলেননি যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি কেবল আওয়ামী লীগের স্ট্যাটাস সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনোভাবেই উল্লেখ করেননি যে, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। অনুবাদে যদি কোনো বক্তব্য আংশিকভাবে বা প্রেক্ষাপট ছাড়াই নেওয়া হয়, তাহলে তা ভুল অর্থ প্রকাশ করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে দেখা গেলে বোঝা যায়, প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা বা কার্যক্রমে কোনো ছাড়ের কথা বলেননি এবং এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে প্রেস সচিব বলেন, এটি একটি অনুবাদজনিত সমস্যা। পিআইবির বাংলা ফ্যাক্ট চেক বিষয়টি যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য স্পষ্ট- আওয়ামী লীগের ওপর বর্তমান থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথা তিনি বলেননি। নিষেধাজ্ঞা যেখানে আছে, সেখানে থাকবে। সরকারের কোনো পরিকল্পনাই নেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনও সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ওপর একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ফলে তারা নির্বাচন করতে পারবে না। এটি স্পষ্ট এবং পরিষ্কার।

শফিকুল আলম বলেন, অনুবাদকারীরা প্রায়ই কোনো বাক্যের আগের প্রসঙ্গ দেখেন না। একটি বাক্যকে প্রেক্ষাপট ছাড়া (আউট অব কনটেক্সট) নেওয়া হলে ভুল অর্থ ফুটে উঠতে পারে। এই ক্ষেত্রে যে মেসেজটি তৈরি হয়েছে, তা সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো অনিশ্চয়তা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। আমরা আশা করি, জুলাইয়ের সংশ্লিষ্ট সনদ দ্রুত স্বাক্ষরিত হবে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো তখন নির্বাচনে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করবে।

গ্রামগঞ্জে গেলে দেখবেন, নির্বাচনের উৎসাহ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। প্রতিটি জায়গায় বড় বড় ব্যানার টাঙানো হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীরা বারবার নিজের কথা জানাচ্ছেন। এটি স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে নির্বাচনের উত্তেজনায় সবাই আক্রান্ত। আমরা আশা করছি, এই উত্তেজনা আরও বাড়বে।

আপডেট : ০৪:১৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

‘আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথাই বলেননি প্রধান উপদেষ্টা’

আপডেট : ০৪:১৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেননি বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, যিনি প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতকারটি অনুবাদ করেছেন, সেখানে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা কখনই বলেননি যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি কেবল আওয়ামী লীগের স্ট্যাটাস সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনোভাবেই উল্লেখ করেননি যে, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। অনুবাদে যদি কোনো বক্তব্য আংশিকভাবে বা প্রেক্ষাপট ছাড়াই নেওয়া হয়, তাহলে তা ভুল অর্থ প্রকাশ করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে দেখা গেলে বোঝা যায়, প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা বা কার্যক্রমে কোনো ছাড়ের কথা বলেননি এবং এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে প্রেস সচিব বলেন, এটি একটি অনুবাদজনিত সমস্যা। পিআইবির বাংলা ফ্যাক্ট চেক বিষয়টি যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য স্পষ্ট- আওয়ামী লীগের ওপর বর্তমান থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনো কথা তিনি বলেননি। নিষেধাজ্ঞা যেখানে আছে, সেখানে থাকবে। সরকারের কোনো পরিকল্পনাই নেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনও সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ওপর একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ফলে তারা নির্বাচন করতে পারবে না। এটি স্পষ্ট এবং পরিষ্কার।

শফিকুল আলম বলেন, অনুবাদকারীরা প্রায়ই কোনো বাক্যের আগের প্রসঙ্গ দেখেন না। একটি বাক্যকে প্রেক্ষাপট ছাড়া (আউট অব কনটেক্সট) নেওয়া হলে ভুল অর্থ ফুটে উঠতে পারে। এই ক্ষেত্রে যে মেসেজটি তৈরি হয়েছে, তা সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো অনিশ্চয়তা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। আমরা আশা করি, জুলাইয়ের সংশ্লিষ্ট সনদ দ্রুত স্বাক্ষরিত হবে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো তখন নির্বাচনে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করবে।

গ্রামগঞ্জে গেলে দেখবেন, নির্বাচনের উৎসাহ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। প্রতিটি জায়গায় বড় বড় ব্যানার টাঙানো হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীরা বারবার নিজের কথা জানাচ্ছেন। এটি স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে নির্বাচনের উত্তেজনায় সবাই আক্রান্ত। আমরা আশা করছি, এই উত্তেজনা আরও বাড়বে।