চুয়াডাঙ্গা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় প্রশাসনের জোড়ালো পদক্ষেপে উদ্ধার ১৪ একর সরকারি জমি

Padma Sangbad

নাটুদহে ১২ কোটি টাকার খাস জমি পুনরুদ্ধারে প্রশংসিত এসিল্যান্ড কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান!
দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মৌজায় দীর্ঘদিন বেদখলে থাকা প্রায় ১৪ একর ৯৫ শতক খাস জমি অবশেষে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে। উদ্ধারকৃত জমিটির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা।

এই সফল অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান। তার সক্রিয় ভূমিকার কারণে এলাকায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের শুরু থেকেই জমি উদ্ধারের অভিযান শুরু হয়। বহু বছর ধরে অবৈধভাবে দখল থাকা এই জায়গাটি একসময় জমিদার শ্রী নফর চন্দ্র পালের হাওয়া ভবনের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে জানা গেছে।

জমি উদ্ধারের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল নিশান উত্তোলন করা হয় এবং বিস্তারিত যাচাই-বাছাই শেষে জমিটি সরকারের নামে রেকর্ডভুক্ত করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে উদ্ধারকৃত জমিতে প্রায় দুই হাজার তালবীজ রোপণ করা হয়। “প্রকৃতি বাঁচাও, বন্যপ্রাণী রক্ষা করো” — এই শ্লোগানে আয়োজিত কর্মসূচির আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ।

তালবীজ রোপণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নাটুদহ ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম, উচ্চমান সহকারী সোহেল রানা, সংগঠনের সদস্যরা, নাটুদহ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য এবং স্থানীয় জনসাধারণ।

এসিল্যান্ড কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান বলেন,
আমরা তদন্তে পাই— কিছু অসাধু ব্যক্তি এই জমিকে লিজের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পরই অভিযান চালিয়ে জমি পুনরুদ্ধার করা হয়। এটি পুরোপুরি সরকারি সম্পত্তি, কেউ এর মালিকানা দাবি করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন,বহু বছর বেদখলে থাকা এই জমিতে এখন গাছ লাগানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি পরিবেশ রক্ষা, বজ্রপাত প্রতিরোধ এবং বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করতে পারে। চাইলে সরকার এখানেই পার্ক বা জনকল্যাণমূলক স্থাপনা গড়ে তুলতে পারেন।

আপডেট : ১২:০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

দামুড়হুদায় প্রশাসনের জোড়ালো পদক্ষেপে উদ্ধার ১৪ একর সরকারি জমি

আপডেট : ১২:০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

নাটুদহে ১২ কোটি টাকার খাস জমি পুনরুদ্ধারে প্রশংসিত এসিল্যান্ড কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান!
দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মৌজায় দীর্ঘদিন বেদখলে থাকা প্রায় ১৪ একর ৯৫ শতক খাস জমি অবশেষে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে। উদ্ধারকৃত জমিটির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা।

এই সফল অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান। তার সক্রিয় ভূমিকার কারণে এলাকায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের শুরু থেকেই জমি উদ্ধারের অভিযান শুরু হয়। বহু বছর ধরে অবৈধভাবে দখল থাকা এই জায়গাটি একসময় জমিদার শ্রী নফর চন্দ্র পালের হাওয়া ভবনের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে জানা গেছে।

জমি উদ্ধারের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল নিশান উত্তোলন করা হয় এবং বিস্তারিত যাচাই-বাছাই শেষে জমিটি সরকারের নামে রেকর্ডভুক্ত করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে উদ্ধারকৃত জমিতে প্রায় দুই হাজার তালবীজ রোপণ করা হয়। “প্রকৃতি বাঁচাও, বন্যপ্রাণী রক্ষা করো” — এই শ্লোগানে আয়োজিত কর্মসূচির আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ।

তালবীজ রোপণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নাটুদহ ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম, উচ্চমান সহকারী সোহেল রানা, সংগঠনের সদস্যরা, নাটুদহ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য এবং স্থানীয় জনসাধারণ।

এসিল্যান্ড কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান বলেন,
আমরা তদন্তে পাই— কিছু অসাধু ব্যক্তি এই জমিকে লিজের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পরই অভিযান চালিয়ে জমি পুনরুদ্ধার করা হয়। এটি পুরোপুরি সরকারি সম্পত্তি, কেউ এর মালিকানা দাবি করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন,বহু বছর বেদখলে থাকা এই জমিতে এখন গাছ লাগানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি পরিবেশ রক্ষা, বজ্রপাত প্রতিরোধ এবং বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করতে পারে। চাইলে সরকার এখানেই পার্ক বা জনকল্যাণমূলক স্থাপনা গড়ে তুলতে পারেন।