চুয়াডাঙ্গা ০৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন মারিয়া কোরিনা নোবেল পেলেন?

Padma Sangbad

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নোবেল পুরস্কার জয়। ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি—যা কেবল লাতিন আমেরিকা নয়, পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।

এএফপি বার্তাসংস্থার পাঠানো একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আরেক বিরোধী নেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া মারিয়াকে ফোন করে খবরটি জানান। ফোনে মারিয়া বিস্মিত কণ্ঠে বলেন, আমি অবাক। জবাবে গঞ্জালেজ বলেন, আমরাও অবাক, কিন্তু আনন্দিত।” এরপর ৫৮ বছর বয়সী এই নেত্রী বলেন, “এটা কি সত্যি? আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না।

ভেনেজুয়েলার সরকারের দমন-পীড়ন ও রোষানলের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আত্মগোপনে রয়েছেন মারিয়া কোরিনা। এ কারণেই তিনি এখনও প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দিতে পারেননি।

নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার সাধারণ মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং স্বৈরাচার থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মুক্তির নেতৃত্ব দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ মারিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

তাদের ভাষায়— মারিয়া কোরিনা লাতিন আমেরিকার ইতিহাসে সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিভক্ত বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যের প্রতীকে পরিণত করে তিনি মুক্ত ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

একসময় তুলনামূলকভাবে গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ ছিল ভেনেজুয়েলা। কিন্তু বর্তমানে দেশটি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা ও মানবিক সংকটে জর্জরিত।
রাষ্ট্রীয় দমননীতি, নির্বাচন কারচুপি ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে বিরোধীদের স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ লাখ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন।

অন্যদিকে, অল্প কয়েকজন সুবিধাভোগী ক্ষমতার অপব্যবহারে নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধি করলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

বিশ্বজুড়ে এই পুরস্কারকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে এক আশার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এটি কেবল মারিয়া কোরিনার নয়—স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত লক্ষ লক্ষ ভেনেজুয়েলানের বিজয়।

সূত্র: এএফপি

আপডেট : ১১:৪৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

কেন মারিয়া কোরিনা নোবেল পেলেন?

আপডেট : ১১:৪৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নোবেল পুরস্কার জয়। ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি—যা কেবল লাতিন আমেরিকা নয়, পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।

এএফপি বার্তাসংস্থার পাঠানো একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আরেক বিরোধী নেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া মারিয়াকে ফোন করে খবরটি জানান। ফোনে মারিয়া বিস্মিত কণ্ঠে বলেন, আমি অবাক। জবাবে গঞ্জালেজ বলেন, আমরাও অবাক, কিন্তু আনন্দিত।” এরপর ৫৮ বছর বয়সী এই নেত্রী বলেন, “এটা কি সত্যি? আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না।

ভেনেজুয়েলার সরকারের দমন-পীড়ন ও রোষানলের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আত্মগোপনে রয়েছেন মারিয়া কোরিনা। এ কারণেই তিনি এখনও প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দিতে পারেননি।

নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার সাধারণ মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং স্বৈরাচার থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মুক্তির নেতৃত্ব দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ মারিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

তাদের ভাষায়— মারিয়া কোরিনা লাতিন আমেরিকার ইতিহাসে সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিভক্ত বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যের প্রতীকে পরিণত করে তিনি মুক্ত ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

একসময় তুলনামূলকভাবে গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ ছিল ভেনেজুয়েলা। কিন্তু বর্তমানে দেশটি স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা ও মানবিক সংকটে জর্জরিত।
রাষ্ট্রীয় দমননীতি, নির্বাচন কারচুপি ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে বিরোধীদের স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ লাখ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন।

অন্যদিকে, অল্প কয়েকজন সুবিধাভোগী ক্ষমতার অপব্যবহারে নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধি করলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

বিশ্বজুড়ে এই পুরস্কারকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে এক আশার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এটি কেবল মারিয়া কোরিনার নয়—স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত লক্ষ লক্ষ ভেনেজুয়েলানের বিজয়।

সূত্র: এএফপি