লজ্জাজনক হারে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক।।
মাত্র ১৯০ রানে শেষ হয়েছিল আফগানিস্তানের ইনিংস। এত কম রান করে এই মাঠে আগে জিততে পারেনি কেউ। তবে লজ্জাজনক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে সেই কীর্তি এনে দিয়েছে। ১৯১ রানের লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে ২৮.৩ ওভারে ১০৯ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। হার ৮১ রানের।
এই নিয়ে ওয়ানডেতে টানা চার সিরিজ হারল বাংলাদেশ। আর সবশেষ ১১ ওয়ানডেতে দশম হার। ১৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। এএম গজনফরের পর দ্বিতীয় আফগান বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেলেন তিনি।
১৯১ রানের মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে রান তোলার আগেই ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। ৫০ রানের মধ্যেই একে একে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সাইফ হাসান আজও ভালো শুরু পেয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি।
বাংলাদেশের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেওয়ার নায়ক আজমাতুল্লাহ ওমারজাই হলে মিডল অর্ডার শেষ করার আফগান নায়ক রশিদ খান। উইকেটে সেট হয়েও টিকতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। ৩৪ বলে ২৪ রান করেছেন তিনি। জাকের আলী (১৮) আর নুরুল হাসান সোহানও (১৫) সেট হয়ে উইকেট ছুগে দিয়ে আসেন। শেষের ব্যাটাররাও স্কোরবোর্ডে তেমন রান তুলতে পারেননি। তাতে ১০৯ রানেই শেষ হয় টাইগারদের লড়াই। নিশ্চিত হয় সিরিজ হারও।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংসে ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে থামে আফগানরা। আবুধাবিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই আফগানরা হারায় রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকুল্লাহ আতালকে। প্রথম ১০ ওভারে ৪৩ রান করে দলটি। ৬৫ রানের মাথায় ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফর্মে থাকা রহমত শাহ। দলীয় ৭৯ রানের মধ্যে তারা হারায় হাশমতউল্লাহ শহিদি আর আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকেও। তবে একপ্রান্তে অটল ছিলেন ইব্রাহিম। ৭০ বলে ফিফটি আদায় করেন এই ওপেনার।
আফগানিস্তান তাদের দলীয় শতরান পূরণ করে ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। মোহাম্মদ নবি সম্ভাবনা জাগিয়েও ৩০ বলে ২২ রান করে আউট হন। ২৪ বলে ১৩ রান করেন নাঙ্গোলিয়া খারোতে। রান পাননি রশিদ খানও। অপর পাশের ৮ জন ব্যাটারের পতন এক প্রান্ত থেকে দেখেছেন ইব্রাহিম। তবে দলীয় ১৮৮ রানের মাথায় হার মানেন তিনি। তখন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে তিনি।
১৪০ বলে মাত্র ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ৯৫ রান করেন ইব্রাহিম। আফগানিস্তান ১৯০ রানের সংগ্রহ পায় মূলত শেষদিকে এএম গজনফরের দারুণ ব্যাটিংয়ে। ১৮ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করেন তিনি। শেষদিকে মাঠে নেমেছিলেন রহমত শাহ। তবে উইকেটে টিকতে পারেননি, ব্যথা নিয়েই ছেড়েছেন মাঠ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৯ ওভার ৫ বলে ৩৭ রান খরচায় রিশাদের শিকার ২ উইকেট। পেসার তানজিম হাসান সাকিবও ২ উইকেট নিয়েছেন। তানভির ইসলাম কোটার ১০ ওভার পূরণ করে ১ উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন মোটে ৩৫।


























