চুয়াডাঙ্গা ১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ২০১৪ সাল থেকে গ্যাস মজুদ নেওয়ার লোক নেই

Padma Sangbad

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে সেই ২০১৪ সাল থেকে প্রকৃতিক গ্যাস এসে বসে আছে। কিন্তু সংযোগ নেওয়ার মতো কোন লোক নেই। অথচ এই গ্যাসের জন্য মানুষের মধ্যে ছিল কত হাহাকার, ছিল আন্দোলন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পকারখানাসহ বাসা বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে বিদ্যুতের উপর যেমন চাপ কমতো, তেমনি মানুষের জীবনমানও আরো উন্নত হতো। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে গ্যাসের লাইন তৈরী, টাউন বর্ডার স্টেশন ও অবকাঠামো নির্মান শেষ করে বসে আছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল)। ২০০৯ সালে গোটা দক্ষিানাঞ্চলে গ্যাস লাইন স্থাপনের পস্তাব পাশ হয়। ২০১১ সাল থেকে এ অঞ্চলে জমি অধিগ্রহন শুরু হয়। জমি অধিগ্রহন ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের এ পর্যন্ত ২৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার ৫২টি মৌজা থেকে ২৬ ফুট এরিয়া নিয়ে মোট ১১৬ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার উপর দিয়ে ৫২ কিলোমিটার গ্যাস লাইন তৈরী করা হয়। সুত্রমতে ২০১৪ সালে গ্যাস লাইন তৈরী শেষে পাইপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ঝিনাইদহের ব্যবসায়ীদের মধ্যে গ্যাস লাইন নেওয়ার কোন ইচ্ছা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও নেই কোন উচ্চবাচ্য। তবে খুলনার কিছু ব্যবসায়ী তাদের কলকারখানায় গ্যাস লাইন নিয়েছেন বলে সুত্র জানায়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা মতো শুধু শিল্প কলকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই সাথে টাউন বর্ডার স্টেশনের পাশে একটি সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের নিয়ম রয়েছে। সেখান থেকে মানুষ সিলিন্ডারে কম টাকায় ভরে গ্যাস বাসাবাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন। আগে বাসাবাড়িতে কোন গ্যাস যাবে না। ঝিনাইদহে গ্যাস সংযোগের সর্ব শেষ অবস্থা সম্পর্কে ভেড়ামারার ইনচার্জ সুমন মল্লিক জানান, আমরা গ্যাস সরবরাহ করিনা না, শুধু লাইন নির্মান করি। গ্যাস সরবরাহের দায়িত্ব খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল)। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস নিতে হলে সেখানে আবেদন করতে হবে। ঝিনাইদহ থেকে ২/১টি আবেদন জমা হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ সিসিক শিল্পনগরীতে গ্যাস সরবরাহের পক্রিয়া চলমান আছে। কেও ইচ্ছা করলে বিসিকের আশেপাশে একটি সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে গ্যাস নিতে পারবেন। তবে বিসিক কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস নিতে হলে অনেক টাকা দরকার। নতুন মেশিন সেটআপ দিয়ে গ্যাস নিতে হবে।

আপডেট : ০৪:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০

ঝিনাইদহে ২০১৪ সাল থেকে গ্যাস মজুদ নেওয়ার লোক নেই

আপডেট : ০৪:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে সেই ২০১৪ সাল থেকে প্রকৃতিক গ্যাস এসে বসে আছে। কিন্তু সংযোগ নেওয়ার মতো কোন লোক নেই। অথচ এই গ্যাসের জন্য মানুষের মধ্যে ছিল কত হাহাকার, ছিল আন্দোলন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পকারখানাসহ বাসা বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে বিদ্যুতের উপর যেমন চাপ কমতো, তেমনি মানুষের জীবনমানও আরো উন্নত হতো। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে গ্যাসের লাইন তৈরী, টাউন বর্ডার স্টেশন ও অবকাঠামো নির্মান শেষ করে বসে আছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল)। ২০০৯ সালে গোটা দক্ষিানাঞ্চলে গ্যাস লাইন স্থাপনের পস্তাব পাশ হয়। ২০১১ সাল থেকে এ অঞ্চলে জমি অধিগ্রহন শুরু হয়। জমি অধিগ্রহন ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের এ পর্যন্ত ২৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার ৫২টি মৌজা থেকে ২৬ ফুট এরিয়া নিয়ে মোট ১১৬ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার উপর দিয়ে ৫২ কিলোমিটার গ্যাস লাইন তৈরী করা হয়। সুত্রমতে ২০১৪ সালে গ্যাস লাইন তৈরী শেষে পাইপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ঝিনাইদহের ব্যবসায়ীদের মধ্যে গ্যাস লাইন নেওয়ার কোন ইচ্ছা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও নেই কোন উচ্চবাচ্য। তবে খুলনার কিছু ব্যবসায়ী তাদের কলকারখানায় গ্যাস লাইন নিয়েছেন বলে সুত্র জানায়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা মতো শুধু শিল্প কলকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই সাথে টাউন বর্ডার স্টেশনের পাশে একটি সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের নিয়ম রয়েছে। সেখান থেকে মানুষ সিলিন্ডারে কম টাকায় ভরে গ্যাস বাসাবাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন। আগে বাসাবাড়িতে কোন গ্যাস যাবে না। ঝিনাইদহে গ্যাস সংযোগের সর্ব শেষ অবস্থা সম্পর্কে ভেড়ামারার ইনচার্জ সুমন মল্লিক জানান, আমরা গ্যাস সরবরাহ করিনা না, শুধু লাইন নির্মান করি। গ্যাস সরবরাহের দায়িত্ব খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল)। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস নিতে হলে সেখানে আবেদন করতে হবে। ঝিনাইদহ থেকে ২/১টি আবেদন জমা হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ সিসিক শিল্পনগরীতে গ্যাস সরবরাহের পক্রিয়া চলমান আছে। কেও ইচ্ছা করলে বিসিকের আশেপাশে একটি সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে গ্যাস নিতে পারবেন। তবে বিসিক কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস নিতে হলে অনেক টাকা দরকার। নতুন মেশিন সেটআপ দিয়ে গ্যাস নিতে হবে।