অনলাইন ডেস্ক:দুইজনের নামই নুরুল আমীন। একজন প্রকৃত
মুক্তিযোদ্ধা হয়েও পাচ্ছেন না
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। অথচ একই নামের (নুরুল
আমীন) অন্য একজনের স্ত্রী পাচ্ছেন ভাতা।
অথচ তিনি জানেনই না তার স্বামী
মুক্তিযোদ্ধা কিনা।
শুধু তাই নয়, ভাতার আবেদন ও ব্যাংক
হিসাবে ভাতাভোগীর নাম আনোয়ারা
বেগম থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম
আলেয়া বেগম। এ ঘটনার সমাধান চেয়ে ১০
বছরেও প্রতিকার পাননি কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামের ভূক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা নুরুল
আমীন।
জানা গেছে, নালঘর গ্রামের নূরুল আমীন
ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীন
করেছেন দেশ।
আছে মুক্তিযুদ্ধের সাময়িক সনদ ও
লালবার্তায় নাম। তার পরও মেলেনি
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন
ভাতা থেকে।
মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমীন জানান, তাকে
কাগজে মৃত দেখিয়ে একই নামের অন্য
একজনের স্ত্রীকে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
তার নামের সাথে মিল থাকায় এই ভাতা
তুলছেন আরেক মৃত নুরুল আমীনের স্ত্রী
আনোয়ারা বেগম।
এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও
মিলেছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার তথ্য ও
প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র দেখাতে
পারেননি মৃত নুরুল আমীনের স্ত্রী। এমনকি
নামেও আছে গড়মিল।
সুবিধা ভোগী নুরুল আমীনের স্ত্রী
আনোয়ারা বেগমের দাবি, কাগজপত্রে
কিছু ভুলের কারণে এ জটিলতা সৃষ্টি
হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও ভাতা পাওয়ার
বিষয়টিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়
জনপ্রতিনিধি। তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি
সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা
সমাজসেবা কর্মকর্তা।
কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের
উপপরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান
জানান, বাস্তবে যিনি মুক্তিযোদ্ধা
হিসাবে দাবি করছেন, তার কাগজপত্র
বাছাই করে তদন্তের মাধ্যমে সঠিক
মুক্তিযোদ্ধার তথ্য বেরিয়ে আসবে।