বগুড়া শহরের ফুলবাড়িতে পুলিশের সামনে রুবেল (৩০) নামে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ায় আবুলের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই গণপিটুনিতে রুবেলের মৃত্যু হয়।
নিহত রুবেলের মা ঝর্না বেগম অভিযোগ করে জানান, তার ছেলে রুবেল ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সোর্স হিসেবে কাজ করতো। পুলিশকে মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য দেওয়ার কারণে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এ কারণে বেশ কিছুদিন ধরে রুবেল বাড়িতে থাকতো না।
নিহত রুবেলের মায়ের দাবি খবর পেয়ে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে সেখানে আসলেও তারা রুবেলকে উদ্ধার করেনি। তাদের সামনেই রুবেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বগুড়া সদর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে রুবেলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। ফুলবাড়ি পুলিশ ফাড়ির এসআই শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
এদিকে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক আমবার হোসেন জানান, ‘নিহত রুবেলের নামে চারটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।’
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ (এএসপি) সনাতন চক্রবর্তী পুলিশের সামনে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘নিহত রুবেল সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী। স্থানীয় জনগণ তাকে পেয়ে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছার আগেই রুবেল মারা যায়।’ রুবেল কখনো পুলিশের সোর্স ছিলো না বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।