April 20, 2024, 4:37 pm

ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য’
‘ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক ও লেখকদের হয়রানি চলছে, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রধাননমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল আইন যখন গড়ে তুলেছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালন করতে হবে এ কারণে যে, ছোট শিশু থেকে যুবক কেউ যেন বিপদে না পড়ে, অসমাজিক কার্যকলাপ, জঙ্গিবাদ বা কোনও ধরনের কিছুর সঙ্গে যেন জড়িত হতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া একান্ত অপরিহার্য। আজকের দিনে বেশি কিছু বলতে চাই না। সমালোচানা যারা করছেন তারা করবেই। কারা সবচাইতে বেশি সমালোচান করছেন সেটা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন। তারা কি বাস্তব পরিস্থিতি একবার উপলব্ধি করতে পারে বা করেছে? তারাতো সেটা করছে না। আজ শুভ দিন, আমি অন্য কোনও কথা বলতে চাই না।
তিনি আরও জানান, আমার বয়স ৭৫ বছর। সেই স্কুল জীবন থেকেইতো রাস্তায় নেমেছি। ৬২ সাল থেকে পথে পথে মিছিলে মিছিলে যোগ দিয়েছি। কাজেই এ দেশের সবাইকে আমার মোটামুটি চেনা আছে-শুধু আমি এইটুকু বললাম। কে কোথায় কি বলে সেটা আমার জানা আছে। কারও মৃত্যু কাম্য নয়, কিন্তু মৃত্যু কেন্দ্র করে কোনও অশান্তির সৃষ্টি করাও কাম্য না। বাংলাদেশে ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্য করা হয়েছিল। তো সেরকম কোনও ঘটনাতো ঘটেনি এখনও। যারা সে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের সঙ্গেতো অনেকেই গাটছাড়া বেঁধেছিল আমি দেখেছি। এখন কেউ অসুস্থ হলে মারা গেলে কী করার আছে।
এসময় সাংবাদিক জ ই মামুন প্রধানমন্ত্রীর জানতে চান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা আপনি বলেছেন। আমরা স্বীকার করি, অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এ আইনের কিছু কিছু অপপ্রয়োগও হচ্ছে। একজন লেখকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য আপনার তরফ থেকে যদি স্পষ্ট করে সর্তকবানী থাকে তাহলে আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন আপন গতিতে চলে। আইনের অপপ্রযোগ হচ্ছে কীনা এটি দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার, আপেক্ষিক ব্যাপার। কোনটা আপনার কাছে অপপ্রয়োগ আর কোনটা অপপ্রয়োগ না এটা আপেক্ষিক ব্যাপার। কিন্তু আমি মনে করি, আইন তার নিজ গতিতেই চলছে এবং চলবে।
যদি কেউ অপরাধ না করে তাহলে বিচারে তার শাস্তি হবে না। কিন্তু আদৌ অপরাধ হচ্ছে কীনা বা এমন কোনও কাজ হচ্ছে না সেটা দেশের বা জাতির ক্ষতি হচ্ছে সে কাজ থেকে তাকে বিরত করা আমাদের দায়িত্ব।
ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছিল বলেই বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি, প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাতে পারছি। প্রত্যেকেই কাজ করতে পারছে। এটা না হলে কেউ কাজ করতে পারতো না, কোথায় কী ঘটে যায় জানতেও পারতাম না।
আপনি সুযোগটা নেবেন, কিন্তু সে সুযোগ যেন মানুষের জন্য ক্ষতিকারক না হয় সেটা অবশ্যই দেখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :