April 16, 2024, 10:22 am

তরুণ কণ্ঠশিল্পী জনি হত্যার এখনো কুলকিনারা নেই

অনলাইন ডেস্ক।।
কক্সবাজারের জনপ্রিয় তরুণ কণ্ঠশিল্পী জনি দে হত্যার ঘটনায় গত চার দিনেও কোনো কুলকিনারা মিলেনি। কি কারণে মুখোশধারী ডাকাতবেশী অস্ত্রধারীরা এমন এক মেধাবী কলেজ ছাত্র এবং প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পীকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল তার হিসাবও মিলছে না।শিল্পী জনির হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তার গাওয়া গানের অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সেই থেকে তরুণ এই কণ্ঠশিল্পীর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে এলাকায়।
কক্সবাজারে ডাকাতের আস্তানা হিসাবে পরিচিত ঈদগাহ-ঈদগড়-বাইশারি সড়কের মাত্র ২টি পয়েন্ট। দীর্ঘ ১৭ কিলোমিটারের সড়কের হিমছড়ি ও পানেরছড়া নামের এলাকা ২টি পাহাড়বেষ্টিত হওয়ায় ডাকাতের জন্য বেশ সুবিধাজনক স্থান। পয়েন্ট ২টিতে প্রায়শ ডাকাতি সংঘটিত হয়ে থাকে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইদগাহ থেকে ঈদগড়ের গ্রামের বাড়ি রওয়ানা দিয়েছিল তরুণ কণ্ঠশিল্পী জনি। হিমছড়ি পাহাড়ী ঢালায় মুখোশধারী ডাকাতদলের গুলি ও ধারাল কিরিচের আঘাতে নিহত হন সিএনজি ট্যাক্সি যাত্রী জনি। একই ঘটনায় মোহাম্মদ কালু নামের অপর এক যাত্রী আহত হয়ে এক দিন পর তিনিও মারা যান।এদিন ৭/৮ জনের একটি অস্ত্রধারী ডাকাতদল সিএনজি ট্যাক্সিতে হামলা চালিয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে প্রকাশ। তবে পরবর্তী সময়ে এলাকার লোকজন জানান, ওই ট্যাক্সিতে বোরকা পরিহিত তিনজন নারী যাত্রীও ছিলেন। সেই সঙ্গে ট্যাক্সিতে পথিমধ্যে চালককে এক প্রকার বাধ্য করে উঠেছিল আরো দুই যাত্রী। তারা কারা- এমন প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণ কণ্ঠশিল্পী জনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে এসব প্রশ্ন তুলেছেন তারই ভক্তরা।
এসব ব্যাপারে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং ঈদগাও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক শামীম আল মামুন বলেন, ‘এলাকায় আমরা পুলিশের সব কর্মকর্তা ও সদস্যরা নতুন যোগদান করেছি। তাই এলাকা সম্পর্কে ধারণা নিতে আমাদের একটু সময় দরকার। তবে আমি অত্যন্ত আশাবাদী-মামলায় জড়িত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :