April 18, 2024, 10:45 am

ইঁটভাটা শ্রমিকদের পাশে মানবিক সংস্থা

সুচেতা লাহিড়ী মিত্র (কলকাতা )
গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ বাঁশবেড়িয়া মহাকালীতলা ইঁট ভাটায় স্বাস্থ্য শিবির , শীতবস্ত্র , স্যানিটাইজার , মাস্ক , এবং খাবার বিতরণ করলেন সমাজ কল্যান সংস্থাগুলি। বেশ কিছুদিন ধরে সমাজের পিছিয়ে থাকা অধিকার বঞ্চিত অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে আসছেন ‘নবদিগন্ত সমাজ কল্যাণ সংগঠন’ এবং একই সাথে এগিয়ে এসেছেন ‘উত্তরণ ‘ এই সংস্থাটিও অনেক বছর ধরে কাজ করছেন।
মাস্ক , স্যানিটাইজার কেক ও স্বাস্থ্য শিবিরটি সংগঠিত হয় আরও একটি সমাজ কল্যান সংস্থা ইসলোকে ( ISLOKE ) সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিল ICHFR । সংস্থার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাননীয় মহম্মদ ইদ্রিস , কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ প্রাক্তন অধ্যাপক ড۔ দেবপ্রসন্ন বিশ্বাস ICHFR কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রদীপ সাঁতরা , প:ব: রাজ্য কমিটির আহ্বায়ক পল্লব কাঞ্জিলাল। সমাজ কর্মী আশীষ সিংহরায় হুগলি জেলা কমিটির সদস্য উত্তম মাঝি , অর্পিতা মন্ডল রিমো সরকার সহ অনেকে। সমাজ কল্যাণ সংগঠন গুলির পক্ষ থেকে উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।



এই উপলক্ষ্যে মানবাধিকার ও সমাজসচেতনতা নিয়ে একটি আলোচনা ও হুগলি জেলা কমিটির সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি তৈরী হয়। সারা বিশ্বে আনন্দে থাকার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাড়ি বানান , খাবার বানান , তাঁরা শ্রমিক নামে চিহ্নিত। তাঁরাই বঞ্চিত সমস্ত সুখ স্বাচ্ছন্দ থেকে
মাথার ওপরে ছাদ তো দূরের কথা খাওয়া-পরার অভাব থেকে যায়। সারা দেশে উন্নততর বসবাসের চাহিদা বেড়েছে তারফলে বহুতলবাড়ি উঠছে প্রতিদিন – প্রত্যন্ত গ্রামেও পাকা বাড়ির সংখ্যা কম নয়। তারফলে ইঁটভাটা গুলিতে কম উৎপন্ন হয়না আমরা দেখেছি ইঁটভাটাগুলিতে কম মজুরিতে শ্রমিকদের ওভারটাইম কাজ করানো হয়। শিশুদেরও কাজ করাতে ন্যূনতম বিবেকে বাধে না ঠিকাদারদের। যেখানে শিশু শ্রম দণ্ডনীয় অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তবু রমরমিয়ে ভাটা মালিক ঠিকা শ্রমিকরা এই অপরাধ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই কাজে সহায়তা করে থাকেন এলাকার নেতা, পুলিশ। মোটা অংকের মাসোহারা তোলে ঐ ভাটাগুলি থেকে ۔۔۔।
আমরা মানবাধিকার সংস্থা ICHFR এর কাছে দাবি জানাবো শিশু শ্রম সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হোক। এবং শ্রমিকদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক সেই সাথে তাঁদের থাকা খাওয়া স্বাস্থ্য বীমা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গুলি দেওয়ার জন্য সরকার ও মালিকদের কাছে দাবিগুলি তুলে ধরার উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক I আমরা চাইনা বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার থেকে কোনও শ্রমিক বঞ্চিত থাকুক।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :