April 19, 2024, 7:29 pm

এবার নেপাল-ভুটান সীমান্তে নজরদারি বাড়াল ভারত

ভারত-চীন চলমান সীমান্ত সংঘাত ও উত্তেজনার মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত ও নেপাল সীমান্ত এবং উত্তরাখণ্ড ও সিকিমের ত্রি-সংযোগ অঞ্চলগুলোতে আরও বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী সমস্ত বাহিনীকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং এসব এলাকায় মোতায়েনের জন্য অতিরিক্ত জওয়ান পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) হিন্দি এনডিটিভি ওয়াবসাইটে ওই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, লাদাখের চুসুলের কাছে চীনের অতিক্রমণ কেবলমাত্র একটি বিভ্রান্ত করার কৌশল হতে পারে, সেজন্য সীমান্ত রক্ষাকারী সমস্ত বাহিনীকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ চীন, নেপালের সাথে তার প্রভাব খাটিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কার সৃষ্টি হওয়ায় গোয়েন্দা এজেন্সি, এসএসবি এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে টহলদারি বাহিনীর সাথে তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সীমান্ত টহলদারি বাহিনীকে কলাপানি অঞ্চলের নিকটবর্তী উত্তরাখণ্ডে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সিকিমে ত্রি-জংশন অঞ্চল, যেখানে ভারত, চীন এবং তিব্বতের অঞ্চল মিলিত হয়েছে, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ত্রিভুজাকার জংশন ডোকলামের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত, যেখানে ২০১৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা ছিল।
গত দুই মাসে এসএসবি এবং নেপালি বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কিছুদিন আগে নেপাল-ভারত সীমান্তে উত্তর প্রদেশের পিলিভিট এলাকায় নেপাল কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করেছিল। ভারত ও নেপালের মধ্যে পিলভিট এলাকায় ৫৩ কিলোমিটার যৌথ সীমান্ত রয়েছে।
‘আজতক’ হিন্দি টিভি চ্যানেল আজ জানিয়েছে, ভারত-চীন সীমান্তে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এবং সশস্ত্র সীমা বল’কে (এসএসবি) সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ এবং সিকিম সীমান্তে আইটিবিপির নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। এসএসবি’র ৩০ কোম্পানি অর্থাৎ ৩ হাজার জওয়ানকে ভারত-নেপাল সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ওই কোম্পানিগুলোকে কাশ্মীর ও দিল্লিতে মোতায়েন করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :