April 19, 2024, 5:49 am

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস পাবে : রীভা গাঙ্গুলি

অনলাইন ডেস্ক। : ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় বাণিজ্য ব্যয় হ্রাসে সহায়তা হবে।
‘ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব: কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ’ – বিষয়ক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ওয়েবিনারে শতাধিক শিল্প নেতারা অংশ নেন।
ওয়েবিনারে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দুর্দান্ত পর্যায়। রেল ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে উভয় দেশ কর্তৃক গৃহীত সাম্প্রতিক যোগাযোগ পদক্ষেপের ফলে বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিবেশের ফলে উভয় দেশই বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি নতুন সুযোগগুলিও ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।
চমৎকার উৎপাদন পরিবেশ, তরুণ জনগোষ্ঠী ও অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ ইত্যাদি ব্যবহার করে তৃতীয় দেশগুলিতে রপ্তানির পাশাপাশি সহযোগিতা এবং যৌথ উদ্যোগের সুযোগগুলি অনুসন্ধান করার জন্যে ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান রীভা গাঙ্গুলি দাশ।
ভারতীয় হাইকমিশনার তার বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রবর্তিত ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের প্রতি আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারত অভিযান পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে রচিত— অর্থনীতি, অবকাঠামো, প্রযুক্তি-চালিত ব্যবস্থা, তরুণ জনগোষ্ঠী এবং চাহিদা। ২১ ট্রিলিয়ন টাকার একটি উদ্দীপক প্যাকেজ অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেবে, গ্রামীণ অর্থনীতি ও কুটির শিল্পগুলিকে সহায়তা করবে, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে উৎসাহ দেবে, বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং ভারতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ইত্যাদি ত্বরান্বিত করবে। আত্মনির্ভর ভারত এমন শিল্প ও খাতকে চিহ্নিত এবং প্রচার করবে যেগুলো বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক আকার ধারণ করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং সম্ভাবনাময়। এটি ভারতকে অংশীদার দেশগুলির সহযোগিতায় বৈশ্বিক মান শৃঙ্খলের অংশ হতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, এটি ভারতীয় ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির বিশাল সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ যেসব নতুন সুযোগ পেয়েছে তা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে ভারত ও বাংলাদেশে বিনিয়োগের বড় সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও তিনি শক্তিশালী বাণিজ্য নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আরও বিনিয়োগ, সংহতি, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জ্ঞান বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ওয়েবিনারে প্রাণ গ্রুপ, ইফাদ গ্রুপ, এসবিআই বাংলাদেশ, ইন্দোফিল এবং শর্থী এন্টারপ্রাইজের শিল্প নেতারা বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন সুযোগ এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :