মোহাম্মদ আমিরের পারফরম্যান্সে খুব খুশি নয় পাকিস্তানি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের প্রত্যাশা পুরোনো আমিরকে। আজহার মাহমুদ মনে করেন, পুরোনো দিনে ফেরার সব সামর্থ্যই এই বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলারের আছে।
আমির ফিরেছেন। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট আর বাংলাদেশের বিপিএলে দারুণ করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন পাঁচ বছরের ক্রিকেটহীনতা তাঁর প্রতিভায় মরচে ফেলেনি।
২০১০ সালে যে তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, পাকিস্তান দলে ফিরেছেন কেবল আমিরই। ফেরার পর থেকে মোটামুটি মন্দ করছেন না। কিন্তু পাকিস্তান দল খুব একটা সন্তুষ্ট নয় এই আমিরের বোলিংয়ে। তারা এই বাঁ-হাতি পেসারের কাছ থেকে আরও ‘আগুন’ চায়, চায় আরও ‘বারুদ’।
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিলেন মোহাম্মদ আমির। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে সেই ‘নো বল-কাণ্ডে’র পর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাঁচ বছর। জেলও খেটেছেন। সেদিনের ১৭ বছর বয়সী আমিরের সেই স্খলন হাহাকার তুলেছিল ক্রিকেট-দুনিয়ায়। ক্রিকেট-দুর্নীতির কারণে শাপ-শাপান্ত হলেও প্রতিভাবান আমিরের প্রতি কিন্তু একটা সহানুভূতি ছিল সবারই। অনেকে মনে মনে চেয়েছিলেন, আমির আবার ক্রিকেটে ফিরুক। নিজের বোলিং দিয়ে রাঙিয়ে দিক ক্রিকেটকে।
১৮ বছর বয়সেই টেস্টে দ্রুততম ৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। প্রথম ১৪ টেস্টে ২৩ গড়ে ৫১ উইকেট নিয়ে সর্বকালের সেরা বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার হওয়ার পথেই ছিলেন। ওয়াসিম আকরাম পর্যন্ত বলে ফেলেছিলেন, আমি তাঁর থেকেও ভালো বোলার। কিন্তু ২০১৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার পর থেকে ১৬ টেস্টে তাঁর উইকেটসংখ্যা ৪৪। গড় বেশ খরুচে—৩৭.২৫।
এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তান দল। কেন্টের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ১৫ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। দলের বোলিং কোচ আজহার মেহমুদ এতে খুশি নন। তিনি আরও অনেক কিছু চান এই ফাস্ট বোলারের কাছ থেকে, ‘আমরা আমিরের কাছে আরও বেশি কিছু চাই। বোলিং কোচ হিসেবে আমিরের কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা আমার। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিতে চাইলে তাকে আরও ভালো করতে হবে। আমি নিশ্চিত, সেটা করার সামর্থ্য আমিরের আছে।’