May 10, 2024, 2:17 am

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত রোহিঙ্গারা দখলে নিচ্ছে স্থানীয়দের খেত-খামার

অনলাইন ডেস্ক।।

মানবিক কারণে জায়গা দিলেও রোহিঙ্গারা স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। দোকানঘর গড়ে তুলতে স্থানীয়দের খেত-খামার কেড়ে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতে, আগে স্থানীয়দের অধিকার, পরে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের স্থান। স্থানীয় বাসিন্দারা যেন নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ঘর নির্মাণ করতে কয়েকজন রোহিঙ্গা বালুখালীর আবদু ছাত্তারের খেত-খামার দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ তথ্য ও সূত্রে জানা যায়, উখিয়ারঘাট বালুখালী তেলীপাড়ার আবদু ছাত্তার একজন বনজায়গীরদার। সরকারি বন রক্ষার্থে বনবিট কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করার জন্য বনবিভাগ থেকে অন্তত ৪০ বছর আগে তাকে দুই একর রিজার্ভ জায়গা দেওয়া হয়। সেখানে তিনি কুঁড়েঘর তৈরি ও শাকসবজি ক্ষেত করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গার ঢল নামার পর ভিলেজার ছাত্তারের অধিকাংশ জায়গা দখলে নিয়ে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে দিব্যি বসবাস করছে রোহিঙ্গারা। এতে মানবিক কারণে কোনো ধরণের বাধা দেওয়া হয়নি রোহিঙ্গাদের। কিন্তু সামান্যটুকু জায়গায় ছাত্তারের বৃদ্ধা মা শামসুন্নাহার কলমিশাক রোপণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। উখিয়ার ক্যাম্প-নং-৭-এ অবস্থিত ওই জায়গার প্রতি লুলোপ দৃষ্টি পড়ে কয়েকজন রোহিঙ্গার। তারা সেখানে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একটি এনজিও সংস্থাকে গোদাম বসিয়ে দিতে চাইছে। ক্যাম্প ইনচার্জকে ভুল ধারণা দিয়ে সেখানে ২৩ জন রোহিঙ্গার জন্য নতুন ঘর নির্মাণ করতে তোড়জোড় শুরু করেছে আলইয়াকিন নামধারী সন্ত্রাসীরা। যাতে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত আবদু ছাত্তারের জমি রোহিঙ্গাদের দখলে নেয়া যায়।

সূত্রে জানা গেছে, কিছু কিছু এনজিওর প্ররোচনায় কৌশলে নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ করছে বিভিন্ন ক্যাম্পে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার থেকে কৌশলে উখিয়া টেকনাফের আশ্রয় ক্যাম্পে ঢুকে পড়ছে ওইসব নতুন রোহিঙ্গা। যদিও নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে স্থান না দিতে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ রয়েছে। সরকারের রেজিস্টারভুক্ত না হলেও জাতিসংঘের খাতায় ঠিকই তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ওইসব রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জায়গা জবরদখল করছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ চড়া দামে ওই জায়গা কিনে মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা গড়ে তুলছে। জায়গা ছেড়ে দিতে না চাইলে আল-ইয়াকিন নামধারী সন্ত্রাসীরা রাতের বেলায় মুখোশ পরে স্থানীয়দের বাড়িঘরে এসে অপহরণ-গুম ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানমাল রক্ষাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার বাংলাদেশি নাগরিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :