রাশিদা-য়ে আশরার।
করোনার তৃতীয় ঢেউ অমিক্রণ জনজীবনে আবার ভয়- ভীতি উত্তেজনা! প্রথম দ্বিতীয় বারের ধাক্কা সামলে যদিও মানুষের মনে ভীতির কারণ অনেকটা কম তবুও ধীরে ধীরে বেড়ে চলছে আক্রান্তর সংখ্যা। অনেকে খামখেয়ালীপনার কারনে মাস্ক পরা থেকেও বিরত থাকে তাতে করে ভয়ানক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে পরিস্থিতি। প্রতিকার না করতে পারলেও আমরা প্রতিরোধ করতে পারি প্রয়োজনীয় সচেতনতা গ্রহণ করে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কি কি নিয়ম পালন করা ও বিধি নিষেধ মেনে চলা কর্তব্য সে সম্পর্কে আমরা মোটামুটি জানি। সবার আগে আমাদের প্রয়োজন সচেতনতা, ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি তাহলে আমরা এই ভয়াল করোনা ঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেঁচে থাকতে পারব।
করোনা সমূলে হয়তো যাবে না এখনই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ও আমরা উপলব্ধি করছি তবে করোনা মহামারী থেকে নিরাপদে থাকতে হলে করণীয় বিষয় গুলো যথাযথ ভাবে মেনে চলা প্রয়োজন। বাংলাদেশ এখনো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় পুরাপুরি এবং এখনো অনেক মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে; অনেক মানুষ এখনো খাদ্য অভাবে ও চিকিৎসার অভাবে দুর্বিষহ জীবন যাপন করে! বিশেষ করে বহুদিন যাবৎ করোনা পরিস্থিতি স্থায়ী হওয়ার কারণে কঠিন অবস্থা বিরাজ করছে! অস্থির এই সময় ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে হলে নিয়ম মেনে প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
প্রথমত ঘরের বাইরে কোথাও গেলে মাস্ক পরিধান করা, প্রতিশোধক অথবা সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে পরিষ্কার করা,বাইরের খোলা নোংরা ধুলাবালি যুক্ত খাবার না খাওয়া, হ্যান্ডশেক অথবা খুব কাছাকাছি অবস্থানে না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এক জায়গায় বেশি লোক সমাগম সভা সমিতি মিটিং মিছিল এগুলো থেকে বিরত থাকা, ছেলেমেয়েরা মাঠে খেলাধুলা করা, অবাধ বিচরণ, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া।
আরো কিছু সতর্কতাঃ বাজার থেকে কোন দ্রব্য কিনে সঙ্গে সঙ্গে না খাওয়া অথবা ভিনেগার দিয়ে অন্তত ৩০মিনিট ভিজিয়ে রাখা এবং ভাল করে ধুয়ে খাওয়া। করোনা দেখা দিলে অথবা সন্দেহ হলে লাল চা আদা লবঙ্গ, দারুচিনি এলাচ, তেজপাতা, কালোজিরা প্রয়োজনে রসুন ২/৩ কোয়া যে যেভাবে ভালো মনে করেন অভ্যাস গড়ে তুলুন আগাম সর্তকতা হিসাবে। ঠান্ডা সর্দি লাগলে বেশি দেরি করবেন না খারাপ মনে হলে অন্তত চার পাঁচ দিনের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন, ফোনে অনলাইনে অথবা সশরীরে রোগীর অবস্থা বুঝে, খারাপ মনে হলে করোনা টেস্ট করাতেও দেরি করবেন না।
আসুন যে যেমন ভাবে পারা যায় জনসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি, নিজ নিজ এলাকাভিত্তিক অবস্থান থেকে। ব্যক্তি পর্যায়ে সামান্য একটু সাহায্য সহযোগিতা অন্যের জন্য হতে পারে অনেক বড়। ভুলে গেলে চলবে না যে অনাগত শিশু আজ স্কুলে যেতে পারছে না…পড়ালেখা শেষ করেও ঘরে বসে বেকার জীবন যাপন করছে তরুণ সমাজ সেই সঙ্গে তার পরিবার অভাবগ্রস্ত ও অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে! আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম অবস্থায় পতিত হচ্ছে!
পালনকর্তার নিকট আসুন বেশি বেশি দোয়া ক্ষমা প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের কে আবার স্বাভাবিক কর্ম ও জীবন যাপনে ফিরিয়ে দেন,অভাব ও দারিদ্র্য মুক্ত করে দেন যত দ্রুত সম্ভব এই পরিস্থিতি দূর করে জীবন যাপনের অনুকূলে করে দেন!
করোনা মহামারীতে যারা অসুস্থ আছেন তাদের সুস্থতা কামনা করি ও যারা নিহত হয়েছেন তাঁদের এবং পূর্ববর্তী পরবর্তী সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের অর্থাৎ পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজন যারা মৃত্যুবরণ করেছেন সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ তায়ালা তাঁদেরকে জান্নাত নসিব করুন আর সকলের সুস্থতা কামনা করি আমীন।
২০২২
Leave a Reply