পলাশ উদ্দীন চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ( ৬-১১-২৩)।। চুয়াডাঙ্গায় নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ চলছে। তবে বিশাল বাজেটের এ প্রশিক্ষণে খাবারের মান নিয়ে প্রশিক্ষানার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। চুয়াডাঙ্গায় ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম শীর্ষক স্কিমের আওতায় নতুন কারিকুলাম বিস্তরন বিষয়ক ৭দিন ব্যাপি প্রশিক্ষন শুরু হয়েছে। গত ২ নভেম্বর ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষনের উদ্বোধন করা হয়। ১ কোটি ৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৫০ টাকা ব্যয়ে প্রশিক্ষন বাস্তবায়ন করছে জেলা শিক্ষা অফিস। প্রশিক্ষনের তিন জেলার ৪০৩ জন প্রশিক্ষণার্থী ও ৩৬ জন মাষ্টার ট্রেইনার রয়েছে। প্রশিক্ষনার্থীদের অভিযোগ নিন্ম মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। যা বরাদ্দের অর্ধেক।
কোর্স সমন্বয়কারী জেলা শিক্ষা অফিসের ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর এস,এম হাবিবুর রহমান জানান, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ৮ম ও ৯ম শ্রনির কারিকুলাম প্রশিক্ষণ কর্মসুচি। এ কর্মসুচিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার ৪০৩ জন শিক্ষক প্রশিক্ষন নিচ্ছেন। উপজেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষনে ৩৬ জন ট্রেইনার রয়েছে। ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১১টি কক্ষে প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রীর একান্ত সচিব আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা কাজী নুর মোহাম্মদ প্রশিক্ষন কর্মসূচি পরিদর্শন করেন। প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য সরকার ১ কোটি ৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৫০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এই অর্থ প্রশিক্ষনার্থীদের থাকা, খাবার, যাতায়াত ও সন্মানী হিসেবে দেওয়া হবে।
এদিকে, প্রশিক্ষার্থী মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আঃ মান্নান, হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক আলমগীর হোসেন এবং ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজর শিক্ষক নিখিল কর্মকার সহ একাধিক শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, আমাদের জন্য যে খাবার দেওয়া হচ্ছে তা নিম্নমানের। সরকার খাবারের জন্য যে বরাদ্দ দিয়েছেন সেই অনুযায়ী খরচ করা হচ্ছে না। প্রথম দিন এক পিচ মুরগির মাংস ও একটি ডিম যুক্ত চিকেন বিরয়ানী দেওয়া হয়েছিল। তার মুল্য কত সবারই জানা। তাছাড়া খাবারের মান ও ছিল খারাপ। এ বিষয়টি আমরা দায়িত্বরতদের জানিয়েছি। তার পর থেকে খাবারের সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে সেটিও উপযুক্ত নয়। যার কারণে অনেক শিক্ষক বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসছে। আমাদের অনেক সহকর্মী কুষ্টিয়াতে একই ধরনের প্রশিক্ষন নিচ্ছে তাদের কে আয়োজকদের ব্যবস্হাপনায় রান্না করে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। তবে, ট্রেইনাররা খুব সুন্দর ভাবে ক্লাস নিচ্ছেন। খাবারের বিষয়টি বাদে সার্বিক ব্যবস্থা ভালো।
এ অভিযোগ বিষয়ে প্রশিক্ষন কোর্সের পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, খাবারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৩ শ টাকা। এর ভ্যাট বাদ দিলে দাঁড়ায় ২৪৬ টাকা। এতে আমরা দুইবার নাস্তা ও দুপুরের খাবার দিচ্ছি।
অপরদিকে, কোর্সের পরিচালক, কোর্স সমন্বয়কারী এবং প্রশিক্ষনার্থীরা খাবারের বরাদ্দের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেছেন। কেউ বলছেন ৩শত, কেউ বলছেন ৪শ ৮০ আবার কেউ বলছেন ৬ শত। আসলে কোনটি সঠিক? ।।
Leave a Reply