July 27, 2024, 9:17 am

জানা ও অজানা কিছু কথা!

রাশিদা য়ে- আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক,দৈনিক পদ্মা সংবাদ।

নারী-পুরুষদের জন্য জানা ও মেনে চলা প্রয়োজন। কিছু হুজুর তথাকথিত নারী বিদ্বেষী মন্তব্য এবং নারী-পুরুষ বৈষম্য মূলক আচরণ,অসামঞ্জস্য কথা বার্তা উত্থাপন করে থাকেন যা অপমান জনক।কারণ টিপ পরলেই সবাই চরিত্রহীন নয়,তবে অবশ্যই কোরআন হাদিস পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মেনে চলা উচিত। )

কপালে টিপ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর যুগে পতিতা সনাক্তের চিহ্ন হিসাবে প্রচলন হয়, (এই যুগের চরিত্রহীণরাও( তবে চরিত্রহীন বলতে পতিতা বোঝাতে পারে আবার নাও হতে পারে) সেই চিহ্ন বহন করছে। শরীয়ত অনুযায়ী চলার বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন করা প্রতিটি মমিন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। বাঙালি
সংস্কৃতিতে টিপ পরার প্রচলন রয়েছে,আর দোষের
বা ইসলামী আইন সিদ্ধ নয় বা পরিপন্থী তাও অনেকেই
জানেন না,আর জানলেও মানতে পারছে না। আধুনিক
জীবন ও সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে তাই এখন অনেক কিছুই আইন সঙ্গত। যেমন সমকামিতাকে ও আইন সিদ্ধ করা হয়েছে শুনছি এদেশেও, তাছাড়া পতিতালয় গুলো চলছে দেদারছে। কিন্তু কারুনের সাম্রাজ্য ধ্বংস-নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল সমকামিতার দায়ে। তা প্রত্যক্ষভাবে অর্থাৎ সরাসরি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত!

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে। সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোনো মানুষের পক্ষে হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হল না।অবশেষে একটি চরক বানানো হল যার মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়। কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশে রহমতের ফেরেশতারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না। এখানে একথাও উল্লেখযোগ্য বরং ইব্রাহিম (আঃ) সেই আগুনের মধ্যে নাতিশীতোষ্ণ,খুব গরমও না ঠান্ডাও না এমনটিই অনুভব করেছিলেন। আর তিনি পরবর্তীতে বর্ণনা করেছেন এই সময়টি নাকি তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর-শান্তিময়! আলহামদুলিল্লাহ।

তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল কিছু পতিতা (নগ্ন) নারী এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারণ এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না। তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলেন।পরবর্তীতে ওই মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল।যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত।

যেসব মুসলিম নারীরা টিপ পরে, তারা এই ঘটনা জানেনা। জেনেও যদি কেউ পরে তাহলে সেটা তার দুর্ভাগ্য। হিন্দুরা টিপ পরে, এটা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ।

পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হতো, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে মুসলমানদের মধ্যেও ফ্যাশনে রূপান্তরিত হয়েছে !

ওহে মুসলিম মা-বোনেরা! এই সত্য কথাটা জানার পরও কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পরবেন ? সুতরাং এই অবমাননাকর চিহ্নটি মুসলিম মা বোনরা এড়িয়ে চলুন।

সূত্র : তাফসীরে মা-রেফুল কোরআন, হযরত ইব্রাহিম (আ.) মূলগ্রন্থ। তাবারী, তারীখ, ১খ, ১২৩-১২৪; ছালাবী আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস, ইবনে কাসীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :