অনলাইন ডেস্ক :
জন্মরাত্রেই মায়ের মৃত্যু। তারপর দাদু দিদার কাছেই মানুষ সুশোভন। এখন পাঁচ পেরিয়ে ছয়। ছেলেকে নিজের কাছে রেখে বড় করার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা। আদালতের রায় গেছে বাবার দিকেই। বৃদ্ধ-দাদু-দিদার প্রশ্ন, বড় করলাম আমরা, আর অভিভাবকের দায়িত্ব পেলেন বাবা। এ কেমন বিচার? ছোট্ট সুশোভন। বয়স পাঁচ পেরিয়ে ছয়। জন্মের সময়ই মায়ের মৃত্যু। তারপর দাদু-দিদার কাছেই বড় হওয়া। কিন্তু আদালতের এক রায়েই সব ওলটপালট। দাদু-দিদা ছেড়ে এখন বাবার কাছেই বড় হচ্ছে ছোট্ট ছেলে।দিদার মন কি সহজে ভোলে। নাতি ছাড়া যে সবই অন্ধকার।জয়নগরের বহরু। ছোট্ট গ্রাম। দাদু-দিদার আঁচলে সুশোভনের লুকোচুরি। সুর করে গল্প বলা।
আসলে গল্পটা হারিয়ে যাওয়ার গল্প। প্রথমে মাকে হারানো। এখন দাদু-দিদাকে হারিয়ে বাবার কাছে বড় হচ্ছে ছোট্ট সুশোভন। দাদু-দিদা নাতিকে হাতছাড়া করতে রাজি হয়নি। বাবা সুভাস মণ্ডল দ্বারস্থ হয় আদালতের। লিগ্যাল এইডের মধ্যস্থতায় আদালতের রায়ে বাবাই হন আসল অভিভাবক।বহরুর ঘরটা এখন খুব ফাঁকা।গোটা বাড়িতেই অদ্ভূত শূন্যতা। মৃত মেয়েকেই দুঃখ উগরে দেন মা। একা সুশোভনের দাদু -দিদাই নয়। নাতি-নাতনিকে বড় করার দাবি নিয়ে এখন অনেক দাদু দিদাই আসছেন আদালত দরবারে। নিরাশ করছে না আদালতও।বাবার কাছে বড় হচ্ছে সুশোভন। কিন্তু দাদু দিদাও যে বড় দরকার ছোট্ট মনের রূপকথায়। তা কি শুধু আইনে মিটবে?
জি-নিউজ
Leave a Reply