July 27, 2024, 10:38 am

দায় ও দায়বদ্ধতা কার?

রাশিদা-য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।

উন্নত অথবা অনুন্নত দেশে দুর্ঘটনা দৈনন্দিন জীবনে একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার- প্রতিদিন সংবাদ শিরোনামঃ কিন্তু তা কারও কাম্য নয়, বরং দুঃসহ যন্ত্রণার ও কষ্টের! মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ একমাত্র বুঝতে পারে জীবন কত সুন্দর আর যাদের পঙ্গুত নিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয় তাদের বেঁচে থাকা কঠিন ও বোঝা স্বরূপ; যারা মৃত্যুমুখে পতিত হয় তারা জীবনের সব কিছু চাওয়া পাওয়ার বাইরে বা উর্ধে চলে যায়!

কিছুদিন পূর্বে আমানত শাহ লঞ্চ ডুবি অল্পদিনের মধ্যেই আবার অভিযান-১০ পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড; অনেকের সাঁতরে প্রাণে বেঁচেছেন অনেকে আহত এবং নিহত! এইসব হৃদয়বিদারক ঘটনা অহরহ প্রচন্ড বিস্মিত করেও হতবাক করে! মৃত্যু মানুষের অবধারিত- দুর্ঘটনা অকস্মাত্ তাহলে দায় ও দায় বদ্ধতা কার? দুর্ঘটনা দুর্ঘটনায়…তবুও পর্যাপ্ত সতর্কতাঃ ও সাবধানতা অবলম্বন, জরুরী পদক্ষেপ প্রয়োজন আর সেইসঙ্গে যান্ত্রিক ত্রুটি গুলো খুঁজে বের করে যানবাহনে চলাচল আবশ্যক!

“একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না”কোনো কোনো পরিবারে হয়তো একমাত্র একজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিও যদি প্রাণ হারান অথবা দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হয় তাহলে সেই পরিবারে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ দুর্দশা! বাংলাদেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত ছোট্ট একটি দেশ- বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার চাপ। বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, অতীতে মানুষ শহর মুখী এবং চাকরিজীবী হিসাবে শিক্ষিত জনপদের একমাত্র পেশা অগ্রগণ্য হতো এখন অনেকে পশু- পাখি, জীবজন্তু উৎপাদন শীল ও কৃষি উৎপাদন ভিত্তিক কর্মকাণ্ডে আগ্রহী হচ্ছে।

বাংলাদেশে এখন কৃষিভিত্তিক উন্নয়নের ব্যাপক প্রসার ঘটছ, স্বদেশী পণ্য বাজারজাত করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতেও সক্ষম হচ্ছে।শহরমুখী মানুষগুলো এখন গ্রামমুখী হয়ে এলাকাভিত্তিক বড় বড় উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষমতা অর্জন করছে নিজেদেরকে। গ্রামীণ জীবন মূলতঃ কৃষিনির্ভর, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে আগের চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে। তাছাড়া শহরে বাস করা জনসাধারণের চেয়ে গ্রামীণ জনসাধারণের চাহিদাও অনেকাংশে কম। শহরমুখী মানুষের জীবন যাপন, কর্মসংস্থান ও যাতায়াত ব্যবস্থা- দেশের উন্নয়ন ঘটলেও এখনও অনেকাংশে ঝুঁকি পূর্ণ ও দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে!

সারাদেশে প্রতিদিন সড়ক, রেলপথ, জলপথ, আকাশ পথে পিপড়ার সারির মত ছুটে চলা অন্তহীন… কাজেই দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে ব্যাপক হারে…সকলের যাত্রা শুভ হোক, দৈনিন্দন জীবন হোক সহজ সরল অনিন্দ্য সুন্দর এবং সাফল্যময়। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :