July 27, 2024, 6:19 am

দু’বছরের কম বয়সি শিশুর খাবারে চিনি মেশাচ্ছেন? কী ক্ষতি হয় জানেন কি

অনলাইন ডেস্ক।
অনেক শিশু খাওয়া নিয়ে নানা সমস্যা করে। যা-ই বানিয়ে দিন না কেন, খেতে চাইবে না সে। অথচ মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেক শিশুর পছন্দ হয়। তাই অবিভাবকরা অনেকেই ভাবেন একটু মিষ্টি দিলে ক্ষতি কী?

কিন্তু ক্ষতি হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, দু’বছরের কম বয়সি শিশুদের খাদ্য তালিকায় কোনও রকম চিনি বা চিনি জাতীয় খাবার রাখা একেবারই উচিত নয়। এই বয়সে বেশি চিনি খেলে পরবর্তী কালে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা এবং টাইপ-টু ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই বয়সি শিশুদের শর্করা যুক্ত খাবার খাওয়ালে তা তাদের বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বাজারের প্যাকেটজাত সিরাপ এবং ফলের রসে অতিরিক্ত শর্করা থাকে। থাকে কেক, পেস্ট্রি, চকলেট, বিস্কুটেও। এ সব শিশুদের খাদ্যতালিকায় একেবারেই থাকা উচিত নয় বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।

জন্মের পর প্রথম চব্বিশ মাসে শিশুদের সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পুষ্টি ও ক্যালোরি প্রয়োজন হয়। যদিও অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবারগুলি ক্যালোরি সমৃদ্ধ, তবে তাতে পুষ্টির অভাব রয়েছে। এই বয়েসের শিশুরা খুব সীমিত পরিমাণে খাবার খায়। তাই তাদের খাদ্য যেন পুষ্টিগুণে ভরপুর হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার।

যে সব শিশুর প্রাথমিক বছরগুলিতে উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়, তাদের অল্প বয়সে স্থূলতা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং দাঁতের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। দু’বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা কী খাচ্ছে, তার উপরেই তাদের খাদ্যাভাস তৈরি হয়। তাই ছোট থেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে বড় বয়সে গিয়েও সেই খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়তে পারে।

তবে শিশুদের খাদ্যতালিকা থেকে মিষ্টি জীতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তারা কেক, চকলেট বা পেস্ট্রি খেতে চাইবেই। অভিবাবকদের তাতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের উপর নজরও রাখতে হবে এবং তাদের মিষ্টি খেতে অনুমতিও দিতে হবে। তবে ভারসাম্য বজায় রাখার দায়িত্ব আপনার।

শিশুর জন্য বাইরে থেকে কিছু খাওয়ার জিনিস কিনলে, তাতে চিনির মাত্রা কতখানি সেই বিষয় সতর্ক থাকুন। নিজে বাড়িতে শিশুর জন্য খাওয়ার বানালে তাতে চিনি না দেওয়ার চেষ্টা করুন।

সুত্রঃ আনন্দ বাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :