July 27, 2024, 5:58 am

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও অর্থনীতির কল্যাণে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রত্যাশায় রয়েছে বাংলাদেশ।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বন্ধুত্বের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হতে চাই এবং আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি আমাদের জনগণ ও অর্থনীতির সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে চাই।”
শেখ হাসিনা বার্তায় আরো বলেন, “বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূতির্র শুভ উপলক্ষে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও সেদেশের বন্ধুত্বপ্রতীম জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার তাৎক্ষণিক স্বীকৃতিদান করার বিষয়টিকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা এবং পরবর্তী দশকগুলোতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দেয়া অব্যাহত সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, জনগণের ক্ষমতায়নে ও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অনেকাংশে সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা একটি সমৃদ্ধ আধুনিক অর্থনীতি, দায়িত্বশীল দেশ, গণতন্ত্র চর্চাকারী, শান্তি গড়ে তোলা ও বজায় রাখতে সচেষ্ট দেশ হিসেবে এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের পথে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত অংশীদার। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে শান্তি, বহুত্ববাদ ও জনগণের মর্যাদার প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার।
তিনি আরো বলেন, “এটা সন্তোষজনক যে, আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক আদান-প্রদান, এবং শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি খাতে সম্পৃক্ততা ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলা, বিনিয়োগ ও পরিষেবা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুর মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার অপার সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :