April 27, 2024, 10:14 am

কাজিপুরে সেচ সংযোগ নিয়ে সংর্ঘের আশঙ্কা ঃ প্রতিকার চেয়ে দরখাস্ত

কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে একই এলাকায় অনুমোদিত চারটি সেচ প্রকল্প এলাকার মধ্যে নতুন করে বিএডিসি’র সংযোগ দানকে কেন্দ্র করে ফুঁসে উঠেছে সেচ সেবাদানকারী ও সেচ সুবিধা নেয়া জমির মালিকগণ। এ নিয়ে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। আর নতুন সংযোগ বন্ধ করতে সেচদানকারী রেজাউল করিম ও আবু তালেব গত সোমবার (৭ মার্চ) কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি দরখাস্ত করেছেন।
দরখাস্তসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের শেষ সীমানায় অবস্থিত পারুলকান্দি গ্রামের দক্ষিনপাশে প্রায় ৮০ বিঘা আবাদী জমিতে সেচ দেবার জন্যে কুড়ি বছর পূর্বে ওই গ্রামের রেজাউল সংযোগ নেন। এরপর কয়েক বছর পূর্বে কাজিপুর পানাসি প্রকল্প থেকে একই গ্রামের আবু তালেব সেচের জন্যে সংযোগ নেন। একই প্রকল্প এলাকায় বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএডিসি অফিস থেকে আলতাফ হোসেন ও শাহিন আলম সেচ সংযোগ নিয়েছেন। এছাড়াও পাঁচটি শ্যালো মেশিন ওই প্রকল্প এলাকায় সেচ দিচ্ছে। এই অবস্থায় সম্প্রতি কাজিপুর বিএডিসি’র পানাসি প্রকল্পের আওতায় গভির নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করেছে। এরইমধ্যে ভূগর্ভস্থ সেচলাইন বসানোর কাজ শেষ করেছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে সরেজমিন ওই সেচ প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে যে খাল থেকে পানি সেচের জন্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে সে খালটি পুরোটাই শুকিয়ে গেছে। শুধু আধা বিঘা জমির মতো একটি ডোবা রয়েছে যেখানে হাটঁ পানিও নেই। এসময় বিএডিসি সেচ প্রকল্পের শেয়ার হোল্ডার নূরে আলম জানান, পানি না পাওয়া গেলে বোরিং করা হবে। এরইমধ্যে বোরিং শুরুর জিনিসপত্র আনা হয়েছে।
অভিযোগকারী আবু তালেব জানান, এসব ভাওতাবাজি। মাত্র আশি বিঘা জমির সেচ দেবার জন্যে আমরাই পর্যাপ্ত জমি পাচ্ছিনা সেখানে গভীর নলকূপ বসলে আমরা কি করবো। তাই যেকোন মূল্যে ওই সংযোগ আমরা চালাতে দেবো না।
কাজিপুর বিএডিসি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার মিজানুর রহমান জানান, ‘আমরা যখন ভিজিট করেছি তখন ওই খালে পানি ছিলো। এটি মূলত জমানো পানি থেকে সেচ দেবার একটি প্রকল্প। তবে আপদকালিন সময়ের জন্যে সেচ দেবার প্রয়োজন হলে ডিপ করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে ওখানে যারা আগে থেকে সেচ দিচ্ছেন তাদের ক্ষতি হয় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘ দরখাস্ত পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। # (ছবি আছে)
আবদুল জলিল, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ
১০/
কাজিপুরে সেচ সংযোগ নিয়ে সংর্ঘের আশঙ্কা প্রতিকার চেয়ে দরখাস্ত
কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে একই এলাকায় অনুমোদিত চারটি সেচ প্রকল্প এলাকার মধ্যে নতুন করে বিএডিসি’র সংযোগ দানকে কেন্দ্র করে ফুঁসে উঠেছে সেচ সেবাদানকারী ও সেচ সুবিধা নেয়া জমির মালিকগণ। এ নিয়ে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। আর নতুন সংযোগ বন্ধ করতে সেচদানকারী রেজাউল করিম ও আবু তালেব গত সোমবার (৭ মার্চ) কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি দরখাস্ত করেছেন।
দরখাস্তসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের শেষ সীমানায় অবস্থিত পারুলকান্দি গ্রামের দক্ষিনপাশে প্রায় ৮০ বিঘা আবাদী জমিতে সেচ দেবার জন্যে কুড়ি বছর পূর্বে ওই গ্রামের রেজাউল সংযোগ নেন। এরপর কয়েক বছর পূর্বে কাজিপুর পানাসি প্রকল্প থেকে একই গ্রামের আবু তালেব সেচের জন্যে সংযোগ নেন। একই প্রকল্প এলাকায় বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএডিসি অফিস থেকে আলতাফ হোসেন ও শাহিন আলম সেচ সংযোগ নিয়েছেন। এছাড়াও পাঁচটি শ্যালো মেশিন ওই প্রকল্প এলাকায় সেচ দিচ্ছে। এই অবস্থায় সম্প্রতি কাজিপুর বিএডিসি’র পানাসি প্রকল্পের আওতায় গভির নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করেছে। এরইমধ্যে ভূগর্ভস্থ সেচলাইন বসানোর কাজ শেষ করেছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে সরেজমিন ওই সেচ প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে যে খাল থেকে পানি সেচের জন্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে সে খালটি পুরোটাই শুকিয়ে গেছে। শুধু আধা বিঘা জমির মতো একটি ডোবা রয়েছে যেখানে হাটঁ পানিও নেই।
এসময় বিএডিসি সেচ প্রকল্পের শেয়ার হোল্ডার নূরে আলম জানান, পানি না পাওয়া গেলে বোরিং করা হবে। এরইমধ্যে বোরিং শুরুর জিনিসপত্র আনা হয়েছে।
অভিযোগকারী আবু তালেব জানান, এসব ভাওতাবাজি। মাত্র আশি বিঘা জমির সেচ দেবার জন্যে আমরাই পর্যাপ্ত জমি পাচ্ছিনা সেখানে গভীর নলকূপ বসলে আমরা কি করবো। তাই যেকোন মূল্যে ওই সংযোগ আমরা চালাতে দেবো না।
কাজিপুর বিএডিসি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার মিজানুর রহমান জানান, ‘আমরা যখন ভিজিট করেছি তখন ওই খালে পানি ছিলো।
এটি মূলত জমানো পানি থেকে সেচ দেবার একটি প্রকল্প। তবে আপদকালিন সময়ের জন্যে সেচ দেবার প্রয়োজন হলে ডিপ করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে ওখানে যারা আগে থেকে সেচ দিচ্ছেন তাদের ক্ষতি হয় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘ দরখাস্ত পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :