বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এনডিটিভি, এএনআই ভারতীয় মিডিয়াসহ, সিএনএন, আলজাজিরা, আরব নিউজ, রয়টার্সের মত সংবাদ মাধ্যমগুলো বেশ কিছু খবর প্রচার করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, নিউজ স্ট্রীম এবং দ্য ওয়্যারও ভোটের খবর প্রচার করেছে।
ভোট শেষ হওয়ার পর এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা ৫ম মেয়াদে জয়ী হয়েছেন।অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমস “বাংলাদেশের নির্বাচন: ‘৫ম বারের মত জয়ী হলেন শেখ হাসিনা ” শিরোনামে সংবাদ প্রচার করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া পৃথক ক’টি প্রতিবেদন এবং “ভূ-রাজনীতির দোলাচলে ‘বাংলাদেশের নির্বাচন-২০২৪’: ভারতের সতর্ক দৃষ্টি” শিরোনামে প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক ও পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ শচীন পরাশরের লেখা একটি উপ-সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। আনন্দবাজারের শিরোনাম ছিল, ‘চার ঘণ্টায় ২০ শতাংশ ভোটও পড়ল না, বাংলাদেশে নির্বাচনী হিংসায় নিহত এক’।
দ্য হিন্দু একটি প্রতিবেদন ছেপেছে, “বাংলাদেশে ভোটাররা সন্ত্রাস ও বিরোধীদের বয়কটজনিত পরিস্থিতির মধ্যেও নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন” শিরোনামে। ভোট প্রক্রিয়া বানচাল করতে ১৮টি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে পত্রিকাটি রিপোর্ট করেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং অন্যান্য ভারতীয় সংবাদপত্রও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাতেও বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। ‘বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছে বিরোধীরা’, ‘বিরোধীদের বয়কট করা নির্বাচনের ভোট গণনা করেছে বাংলাদেশ’ এর মধ্য অন্যতম। নির্বাচন নিয়ে লাইভ রিপোর্টও প্রচার করেছে আল-জাজিরা যার শিরোনাম ছিল, বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের মধ্যেই ভোটগ্রহণ চলছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা কম, ক্ষমতায় থাকছে শেখ হাসিনা। ভোটের দিন বিবিসির শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ’। দ্যা গার্ডিয়ান শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসছেন শেখ হাসিনা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর শিরোনামে বলা হয়েছে, বিরোধীদের বয়কটের পরও বাংলাদেশে চলছে ভোট গ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতেই বাংলাদেশে ভোটার সংখ্যা কম।
মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম—‘দমন-পীড়ন ও বর্জনে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের নির্বাচন, ভোট গ্রহণ চলছে’। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল কী হবে, তা আগেই অনুমান করা যাচ্ছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে অন্তত ১৮টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচনের দিন পরিস্থিতি বলতে গেলে শান্তিপূর্ণ ছিল। প্রধান বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের কারণে টানা চার মেয়াদে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন ভোট গণনা করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ায় ‘বাংলাদেশে উত্তেজনাপূর্ণ ভোটাভুটির পর এবার ফল প্রকাশের পালা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে, প্রধান বিরোধী দলের বয়কট এবং ভোটের আগে সহিংসতার মধ্যেই সাধারণ নির্বাচনে টানা চতুর্থ এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে জয়ী হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে টানা ৪র্থ মেয়াদে জয়ী হতে চলেছেন। সৌদি আরবভিত্তিক গণমাধ্যম আরব নিউজ বলেছে, বিরোধীদের বয়কট করা নির্বাচনে ভোটারের কম উপস্থিতি দেখলো বাংলাদেশ।।
Leave a Reply