May 17, 2024, 8:49 am

উচ্চ ডেঙ্গু ঝুঁকির আট জেলা চিহ্নিত

অনলাইন ডেস্ক।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে এলাকা চিহ্নিত করে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে দেশের আট জেলাকে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকির জেলা হিসাবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে সদরে। এরই মধ্যে বরিশালকে উচ্চ ডেঙ্গু ঝুঁকির জেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

ভুক্তভোগীরা জানান, মশা নিধনে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলেও কাজ হচ্ছে না। বেশি বেশি এলাকায় এডিস ছড়াচ্ছে।

রোগীদের অভিযোগ, টেস্ট করতেও অনেক সময় লাগছে।

বরিশালের পাশেই পটুয়াখালী। উচ্চ ঝুঁকির আরেক জেলা। আক্রান্তের হার বেশি দশমিনা ও দুমকি উপজেলায়।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা বেগম জানান, ২২টা বেড দিয়ে আমরা ওয়ার্ড চালু করেছিলাম। এখন ৭০টা বেডে তা উত্তীর্ণ করা হয়েছে।

বৃষ্টি প্রবণ এলাকা হওয়ায় সংক্রমণ বেশি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এফ. এম. আতিকুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু বিস্তার লাভ করছে। এছাড়া অনেকে ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আসছেন, তাদের থেকে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।

আরেক উচ্চ ঝুঁকির জেলা পিরোজপুর। সেখানে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত স্বরূপকাঠি উপজেলা। এখন রোগী আছে ৪৫ জনের বেশি। সারা জেলায় হাসপাতালে ভর্তি ১১০ জন ডেঙ্গু রোগী।

চট্টগ্রাম নগরীর ৪৯০টি পয়েন্টে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসাবে, চিহ্নিত করেছে সিটি কর্পোরেশন। এসব এলাকার নির্মাণাধীন ভবন ও মানুষের আবাসস্থলে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলার কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওস বলেন, রোগী যেসব এলাকা থেকে বেশি আসছে, সেসব এলাকাকে আমরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করছি।

গাজীপুরে জুলাই মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৩৯ জন। এলাকার লোকজন বলছেন, এডিস মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ নেই বলেই বেড়েছে ডেঙ্গু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :