April 20, 2024, 6:41 am

ক্যানসার মানেই কি মৃত্যু? আলোচনায় মনোবিদ এবং স্তন ক্যানসার জয়ী

দৈনিক পদ্মা সংবাদ নিউজ ডেস্ক।
গোটা দেশে ক্যানসারের সঙ্গে বাস করা মানুষের সংখ্যাটা কম নয়। ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে সেই সংখ্যাটা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের দাবি অনুসারে, প্রতি দিন প্রায় ১৩০০ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাটাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে।ক্যানসার ধরা পড়লেই মনে জমাট বাঁধে চিন্তার কালো মেঘ। চেপে বসে মৃত্যুভয়। শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি আশঙ্কা, ‘যদি মরে যাই’। এই ভাবনা যেন আরও বেশি করে কাহিল করে তোলে রোগীকে। ক্যানসার থেকে কি সত্যিই মুক্তি নেই?

মুক্তির অন্বেষণের এই সংলাপ নিয়েই সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আলোচনায় বসলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে ‘লোকে কী বলবে’তে মুক্তির একটি ধারাবাহিক পর্ব চলছে। ‘কী করে বলব! সঙ্গে অনুত্তমা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের এ সপ্তাহের বিষয় ‘মৃত্যুভয় থেকে মুক্তি’। মুক্তির সংলাপের এটি অন্তিম পর্ব। প্রতি পর্বের আগেই অনুত্তমার কাছে পাঠানো যায় প্রশ্ন। এই পর্বে তেমন কিছু প্রশ্ন পেয়েছিলেন মনোবিদ। তবে অনুত্তমা একা নন, এই পর্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন স্তন ক্যানসার আক্রান্ত রিনি শীল।

একজন লিখেছেন, ‘আমার শরীরে কিছু একটা বদল ঘটে যাচ্ছে। আমার আশঙ্কা স্তন ক্যানসার হয়ে থাকতে পারে। আমি খুব ভয় পাচ্ছি এই বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে। যদি আমার ক্যানসার ধরা পড়ে তখন আমি কী করব? এই ভয়ে শরীরের উপসর্গগুলি নিয়ে নিজের সঙ্গে কথা বলি না।’’

প্রতি মুহূর্তে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন রিনি। জীবনের বিভিন্ন বিন্দুতে দাঁড়িয়ে রিনি মোকাবিলা করছেন মারণরোগের সঙ্গে। তাই ক্যানসার ধরা পড়লে কী করা উচিত মনোবিদই জানতে চাইলেন রিনির কাছে। রিনি বললেন ‘‘স্তন, জরায়ুর ক্যানসারের কোনও উপসর্গ দেখা দিলেও, লজ্জার কারণে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। চিকিৎসকের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে চান না। সেটা একদমই ভুল। ছোটখাটো কোনও উপসর্গ দেখা দিলেও, তা নিয়ে সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। ভয় পেয়ে লুকিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। টেস্ট করিয়ে নেওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। লুকিয়ে রাখা মানেই চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হওয়া। যা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। ক্যানসার হয়েছে মানেই মৃত্যু নয়। ক্যানসার থেকে অনেকেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। শুধু দরকার সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা। আর সময়মতো রোগ নির্ধারণ করা। এই তিনটি বিষয় মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটা কমিয়ে দেয়।
সুত্রঃ আনন্দ বাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :