কক্সবাজারের সীমান্ত ও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উপজেলা টেকনাফের তিন উপকূলীয় ইউনিয়ন টেকনাফ সদর, সাবরাং ও বাহারছড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা মেরিন ড্রাইভের বিভিন্ন জেলে ঘাট দিয়ে বর্তমানে প্রতিনিয়ত মালয়েশিয়া মানব পাচারের এয়ারপোর্টে পরিনত হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা শিবির থেকে শতশত রোহিঙ্গা সুন্দরী নারী-পুরুষ সহ কৌশলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় দালাল এর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর সাগর দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশেষ করে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশ খালিয়া পাড়া ঘাট, মিটা পানির ছড়া, হাবিব ছড়া ঘাট, সাবরাংয় ইউপি’র বাহাড় ছড়া ঘাট, মুন্ডার ডেইল, হাদুর ছড়া ঘাট, উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া নোয়াখালী পাড়া, জুম্মা পাড়া, কচ্ছপিয়া, বড় ডেইল ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত মালেশিয়া যাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
মেরিন ড্রাইভ বাহারছড়া বিভিন্ন ঘাটের সমুদ্র সৈকত এলাকার পাশ্ববর্তী বাড়ি ও ঝোপ-জঙ্গলে এনে জড়ো করে রাখে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে তাদের বাহির করে ছোট ছোট ফিশিং বোট দিয়ে মিয়ানমার হয়ে গভীর সাগরে অবস্থানরত বড় ট্রলার উঠিয়ে দেয়। এবং বড় ট্রলার গুলো প্রায় এক সপ্তাহ থেকে ১ মাস পর্যন্ত গভীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করার পর ট্রলারের ধারণ ক্ষমতা চেয়ে অতিরিক্ত ২/৩ গুণ যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়ায় উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশান কমান্ডার লেঃ কমান্ডার এম আশিক আহমেদ জানান, মানব পাচার বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতা ছাড়া মানবপাচার করা সম্ভব না। মানব পাচারের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
টেকনাফ মডেল থানার নবাগত (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, মানব পাচারের জড়িত দালালদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখতেছি। স্থানীয় দালালদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply