অনলাইন ডেস্ক।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি৷ এর আগে সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন তিনি।
প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর ৩ হাজার ৮১০ কেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৭১৪ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশ নেয়৷ এর মধ্যে শতভাগ পাস করে ২ হাজার ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সম্মিলিত পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে এবার মোট এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গতবার দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। ফলে এবার এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।
এর ব্যাখ্যাও দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত বছর বা এর আগের বছরে যারা পরীক্ষা দিয়েছে, তারা তো আর পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা দেয়নি। তারা অল্প নম্বরে, অল্প বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়েছে। কাজেই খুব স্বাভাবিকভাবে সেই সময়ে পরীক্ষার পাসের হারটা অনেক বেশি ছিল। আপনি যদি তিন বা চারটি বিষয়ে পরীক্ষা দেন; আপনি এখন ১০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন, পুরো ১০০ নম্বরে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সেখানে আগেরবার তারা খুব কম নম্বরে পরীক্ষা দিয়েছে, কম বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখনকার যে পাসের হার, সেটা করোনা মহামারির আগের সময়ে, স্বাভাবিক সময়ে আমাদের যে পাসের হার ছিল, তার সঙ্গে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে যেন যথাযথভাবে শিক্ষাকার্যক্রম করতে পারে, আমাদের সেসব যথানিয়মে করব। আমরা আশা করবো, রাজনৈতিক দলগুলো, তারা তাদের যেকোনো কর্মসূচিই দেন না কেন, সেই কর্মসূচির কারণে আমাদের সন্তানদের পড়াশোনায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে। অতিমারি আমাদের হাতে ছিল না, আন্দোলন আমাদের হাতে; অতিমারি সারাবিশ্বকে পর্যুদস্ত করেছে, সারাবিশ্বেই টালমাটাল পরিস্থিতি হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সেটিকেও সালাম দিয়ে এই জায়গা পৌঁছেছি। রাজনীতি-আন্দোলন আমাদের নিজস্ব বিষয়, এর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। আমরা বিশ্বাস করি রাজনীতি মানুষের জন্য, দেশের জন্য। আর আমাদের ভবিষ্যৎ হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা, তাই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে জিম্মি করে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন পালন না করেন। কারণ, জনগণের কাছে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।
Leave a Reply