April 19, 2024, 6:33 am

প্যারাসিটামল কখন, কীভাবে খেতে হয়?

অনলাইন ডেস্ক :
জ্বর ও ব্যথা নিরাময়ে প্যারাসিটামলের মতো নিরাপদ ওষুধ খুব বেশি নেই! তাই এই ওষুধ আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত। অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে বা একটু জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। কারণ, জ্বর গায়ে বাড়িতে শুয়ে থাকলে কী চলবে! তাই ছুটি-ছাটার অভাবে অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে স্কুলে, কলেজে বা কাজে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু চিকিত্সকদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হওয়া পর্যন্ত জ্বরের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। কারণ, ভাইরাল ফিভার নিজে থেকেই সেরে যায়। এর জন্য শুধু বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত জলীয় খাবার প্রয়োজন। সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেই বা গা ব্যথা করলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত বিপজ্জনক! আসুন জেনে নেওয়া যাক প্যারাসিটামল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য, যা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।

১) দৈহিক ব্যথার উপশমে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলই ব্যবহৃত হয়। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এটি বিক্রি হয় এবং যে কেউ কিনতে পারেন। তবে তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত।

২) মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট, কখনও প্রয়োজনে দুটিও খেতে হতে পারে।

৩) ২৪ ঘণ্টায় চিকিত্সকরা সর্বাধিক তিন থেকে চারবার প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শই দেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় ৪ গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না।

৪) গা ব্যথা বা জ্বরের জন্য তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তিন দিনে সমস্যা না কমলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫) প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত গুরুতর নয়। তবে শিশুদের বয়স আর ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দেওয়া উচিত। তাই শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

৬) ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া মোটেই উচিত নয়। কারণ তাতে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

৭) চিকিত্সকদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হওয়া পর্যন্ত জ্বরের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। কারণ, ভাইরাল ফিভার নিজে থেকেই সেরে যায়।

৮) সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের দাবি, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার (ADHD) বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার (ASD)-এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :