অনলাইন ডেস্ক।
সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার দিল্লির ভারত মন্ডপম কনভেনশন সেন্টারে জি২০-র শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সাক্ষাতের সময় প্রিন্স সালমান বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে তিনি শেখ হাসিনাকে তার পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
সালমান পতেঙ্গা টার্মিনাল, পায়রা বন্দর এবং এসিইউডব্লিউএ পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে সৌদি বিনিয়োগকারীদের চলমান বিনিয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি তাদের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সৌদির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
প্রিন্স সালমান ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে সৌদিকে সমর্থন করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা সৌদির বেশ কয়েকটি সামাজিক সংস্কার শুরু করা এবং সাম্প্রতিক সময়ে অসংখ্য কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করায় যুবরাজ সালমানকে অভিনন্দন জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা যুবরাজকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ
জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের প্রথম দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
রোববার জি-২০ সম্মেলনে ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথা হয়। বাইডেন এসময় প্রধানমন্ত্রী ও তার মেয়ে পুতুলের সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
রাতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেয়া নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন জো বাইডেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানাও এসময় উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
রোববার নয়াদিল্লি থেকে দুপুর একটার দিকে নয়াদিল্লি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
Leave a Reply