ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘উত্তপ্ত শহর নারীদের জন্য বসবাসের অযোগ্য। তাই তাপপ্রবাহের মধ্যে নারীদের জন্য কিছু কাজ আমরা শুরু করেছি। যাতে নারীরা তীব্র গরমে কিছু স্বস্তি পান। আমরা বাস স্টপেজগুলোতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছি।
একই সঙ্গে আমরা নারীবান্ধব শৌচাগার করার বিষয়ে কাজ করছি, যাতে দৈনন্দিন চলার পথে তারা সহজেই স্বস্তি ও সুরক্ষা পান।’ শুক্রবার (৩ মে) জর্জিয়ায় অনুষ্ঠিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভায় প্যানেলিস্ট হিসেবে এক অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
বুশরা আফরিন বলেন, ‘তাপের হুমকি মোকাবেলা এবং ঢাকার জন্য একটি টেকসই ও শীতল ভবিষ্যৎ তৈরি করার জন্য আমাদের যাত্রা শুরু মাত্র। ২০২৩ সাল ছিল বাংলাদেশে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর এবং গত মাসে ঢাকায় তাপপ্রবাহ আগের চেয়ে বেশি ও তীব্র ছিল।
’
তিনি আরো বলেন, ‘গত কয়েক দিন অনেক বেশি তাপ ছিল। তাপের প্রভাবে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি অনুভূত হয়। প্রধান হিট অফিসার হিসেবে, আমি অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বসবাসকারী (বস্তিতে বসবাসকারী) নারীদের ওপর এই তাপমাত্রার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেছি। গরমে তাদের নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল।
’
চিফ হিট অফিসার বলেন, ‘এবারের গরমের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় নারীদের কাজের পাশাপাশি শিশুযত্ন নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যা তাদের এমন একটি শহরে আরো প্রান্তিক করেছে। আমাদের জোর প্রচেষ্টা রয়েছে সেই ব্যবধানটি কমানোর এবং সেই বিষয়গুলো চিহ্নিত করে কাজ করার, যে বিষয়গুলো আমাদের শহরটিকে নারীদের জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। সর্বোপরি আমরা নারীদের প্রতিদিন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও তাপপ্রবাহের সময় তাদের যে ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয় তা চিহ্নিত করার কাজ করছি।’
প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা আর্শট-রক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় কর্মরত সামাজিক উদ্যোক্তা বুশরা আফরিনকে চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ২০৩০ সালের মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা সমাধানের জন্য বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছতে কাজ করছে।
parallax ad
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
সম্পর্কিত খবর
গরমে প্রাণ জুড়াবে গাজরের জুস
গরমে প্রাণ জুড়াবে গাজরের জুস
আজ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ
আজ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ
গাইবান্ধায় ‘গরিবের রোমান্টিক জাফলং’
গাইবান্ধায় ‘গরিবের রোমান্টিক জাফলং’
হিট স্ট্রোকে মরছে মুরগি
হিট স্ট্রোকে মরছে মুরগি
জাতীয়
প্রকাশ: শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪ ২০:০১
সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে ডক্টরেট সম্মাননা পাচ্ছেন ড. আতিউর
সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে ডক্টরেট সম্মাননা পাচ্ছেন ড. আতিউর
সংগৃহীত ছবি
স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (সোয়াস) ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পক্ষ থেকে অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানকে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সম্মানসূচক ডক্টরেট সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অ্যাডাম হাবিব ৩০ এপ্রিল লেখা এক চিঠিতে তাঁর এ সম্মাননা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে- একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দারিদ্র্য নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার সুবাদে এ বছর ডক্টর অফ সায়েন্স (ইকোনমিক্স) সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন ড. আতিউর রহমান।
ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ড. আতিউর রহমান ‘দারিদ্র্যবান্ধব সরকারি ব্যয়নীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং উদ্ভাবনীমূলক সামাজিক কার্যক্রম’ এসব ক্ষেত্রে যে নেতৃত্বসূচক ভূমিকা রেখেছেন সেগুলোও সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে বিবেচনা করেছে।
২০২৩ সালে সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ রকম সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়েছেন চারজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। তারা হলেন- ভারতের প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার (ডক্টর অফ লিটারেচার), লন্ডনভিত্তিক ক্যুলিনারি আর্টিস্ট আসমা খান (ডক্টর অফ সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স), ইউকেভিত্তিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কেভিন ফেনটন (ডক্টর অফ লিটারেচার) এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ ধর্মতাত্ত্বিক জংসার জাময়াং খেন্তসে রিনপোশে (ফেলো)।
সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের বার্ষিক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ড. আতিইর রহমান এই সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
ওই অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা তরুণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্বের উন্নয়নে ড. আতিউর রহমানের অবদানে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
ড. আতিউর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন প্রাক্তনী। এরই মধ্যে তিনি অসংখ্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তিনি ম্যানিলাভিত্তিক গুসি ফাউন্ডেশন থেকে গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার, এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা থেকে ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণস্মারক, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের সহযোগী দ্য ব্যাংকার এবং ইউরোমানির সহযোগী দ্য ইমার্জিং মার্কেটস থেকে এশিয়া ও প্যসিফিক অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ গভর্নর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
দেশীয় পর্যায়ে তিনি অন্যান্যের মধ্যে বাংলা একাডেমি থেকে সাহিত্য এবং রবীন্দ্র পুরস্কার, রবীন্দ্র একাডেমি থেকে রবীন্দ্র সম্মাননা এবং শেলটেক ফউন্ডেশন থেকে শেলটেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়া সম্প্রতি ঢাকা আহছানিয়া মিশন ঘোষণ করেছে, এ বছর ড. আতিউর রহমানকে ঐতিহ্যবাহী খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হবে।
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
জাতীয়
প্রকাশ: শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪ ১৯:৫৪
উত্তরার লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
উত্তরার লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার (৪ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটে। নিহত একজনের নাম আশরাফুল ইসলাম। আরেকজনের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন তুরাগ থানার ওসি শেখ সাদী।
তিনি বলেন, আজ দুপুর ২টার সময় মিরপুর ১১ ও গাবতলী থেকে পাঁচ বন্ধু গোসল করতে উত্তরা লেকে আসে। তারা সবাই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর। তারা উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের লেকে ১০ নম্বর ব্রিজের কাছে গোসল করতে নামে।
লেকের পানিতে গোসলে নেমে পাঁচ বন্ধুই মাঝখানে চলে যায়। এর মধ্যে অতিরিক্ত গভীরতা থাকায় দুই বন্ধু ডুবে যায়। তাদের ডুবে যেতে দেখে অন্য তিন বন্ধু উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ওই দুই বন্ধুকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।
তখন তারা ওপরে উঠে চিৎকার করতে থাকে। তাদের পাশাপাশি সেখানকার এক চায়ের দোকানদার নারীও দৃশ্যটি দেখে চিৎকার করতে থাকে।
তিনি আরো বলেন, ‘তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী সেখানে জড়ো হয়। তখন তারা আমাদের খবর দেয়। আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে জানাই।
টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরিদল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
নিহত দুই বন্ধুর পরিচয় জানতে চাইল ওসি বলেন, ‘তাদের একজনের নাম আশরাফুল ইসলাম। সে মা-বাবার সঙ্গে মিরপুর-১১ নম্বরে থাকত। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। তার আত্মীয়-স্বজন আসছে। এলে জানতে পারব। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, এরা সবাই মিরপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।’
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
জাতীয়
প্রকাশ: শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪ ১৯:৫০
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয় চক্রটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয় চক্রটি
সংগৃহীত ছবি
বিভিন্ন ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং টিন নম্বর তৈরি করতেন জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস। এসব এনআইডি ব্যবহার করে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে তৈরি করতেন বিভিন্ন ফ্ল্যাটের জাল দলিল। পরে এসব জাল দলিল বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিতেন ইদ্রিস। তিনি ও তাঁর চক্রের সদস্যরা জাল দলিল ও কাগজপত্র দিয়ে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন।
ফ্ল্যাট জালিয়াতচক্রের হোতা ইদ্রিস ও তাঁর সহযোগীরা মিলে দীর্ঘদিন ধরে এই জালিয়াতি করে আসছিলেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই চক্রের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রের হোতা ইদ্রিসসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক এনআইডি ও টিন নম্বর, ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং নগদ তিন লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের বাকি সদস্যরা হলেন মো. রাকিব হোসেন (৩৩), চক্রের সদস্য জয়নালের ভায়রা কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মো. লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান মিঠু (৩০), এনআরবিসির ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সিআইডির ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যের সক্রিয় সহযোগিতায় চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় এনআইডি ও টিন তৈরি করে আসছে। পরে এই এনআইডি ও টিন ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট বা জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করতেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব জাল দলিল দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাত্ করে চক্রটি।’
অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এই সংঘবদ্ধ চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস। তাঁর চক্রের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হন। ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করেন।
ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেওয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে তৈরি করেন জাল দলিল। ইদ্রিস জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হন, আবার কখনো চক্রের অন্য সদস্যদের মালিক বানান। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পাতেন। ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকাও নেন ইদ্রিস। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে জাল দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাত্ করেন। এভাবে ফ্ল্যাটের জাল দলিল দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।’
তিনি বলেন, ‘ইদ্রিসের নেতৃত্বাধীন এই ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে জাল দলিলের মাধ্যমে পথে বসিয়েছে বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাঁদের করেছে নিঃস্ব। সিআইডির অনুসন্ধানে ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইদ্রিসের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ, ইআর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি।’
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
জাতীয়
প্রকাশ: শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪ ১৯:৪৫
বিচারকাজ পরিচলনায় আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিচারকাজ পরিচলনায় আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চ
সংগৃহীত ছবি
সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকাজে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দুটি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাস পর এই প্রথম তিনি দুটি বেঞ্চ গঠন করলেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপিল বিভাগের রবিবারের (আজকের) কার্যতালিকায় দুটি বেঞ্চের উল্লেখ রয়েছে। এক নম্বর আদালত কক্ষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বসবেন।
সঙ্গে থাকবেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। দুই নম্বর আদালত কক্ষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে রাখা হয়েছে- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে।
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে যান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
পরদিনই অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন ওবায়দুল হাসান। তখন আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা নেমে আসে ছয় জনে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অবসরে যান বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। এরপর প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে বিচারপতি ছিলেন পাঁচজন।
গত ২৪ এপ্রিল হাইকোর্টর তিনজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নতুন তিনজনকে নিয়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাড়ায় আটজনে। গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত ১০ দিনে সুপ্রিম কোর্টের কর্মদিবস ছিল চারটি। এই চার কর্মদিবস সাত সহকর্মীকে নিয়ে একসঙ্গে বিচারকাজে বসেছিলেন প্রধান বিচারপতি।সূত্র: কালের কণ্ঠ
Leave a Reply