May 19, 2024, 8:38 pm

ভোলায় জমে উঠেছে শীতের কাপড়ের ব্যবসা

জেলায় গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে জমে উঠেছে শীতের গরম কাপড়ের ব্যবসা। মাঘের ঠান্ডা থেকে রক্ষায় স্বল্প আয়ের মানুষজন ছুটছেন অস্থায়ী এসব দোকানগুলোতে। সীমিত আয়ের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। অনেকে আবার ফুটপাত ও ভ্যানে করে শীতের পোশাক বিক্রি করছেন। পছন্দের পোশাকটি কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা।
এসব কাপড়ের মধ্যে রয়েছে প্যান্ট, শার্ট, চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, কোট, কান টুপি, মোজাসহ হরেক রকম শীতের পোশাক। ছেলে, মেয়ে, শিশু, বয়স্কসহ নানান বয়সের মানুষের ড্রেস পাওয়া যায় স্বল্প মূল্যে। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা বা তারও বেশি টাকায় এখানে গরম কাপড় পাওয়া যায়।
সরেজমিনে শহরের কোর্ট মসজিদ সংলগ্ন এলাকা, বাসস্ট্যান্ড এলাকা, পুরাতন টাউন হলের সমানে, জজকোর্টের সামনে, সদর রোডে দেখা যায়, জমজমাট গরম কাপড়ের দোকানগুলো। বিভিন্ন বয়সী ক্রেতারা পোশাক কিনতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন। একইসাথে শহরের বিভিন্ন শপিংমল ও বিপণী বিতানগুলোতেও বিক্রি বেড়েছে শীতের পোশাক।
শহরের নতুন বাজার এলাকার পুরাতন টাউন হলের সামনে বেশ বড় পরিসরে অস্থায়ীভাবে শীতের পোশাক বিক্রির স্থান করা হয়েছে। এখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বেশ জমজমাট হয়ে উঠে। এখানকার বিক্রেতা মো: জসিমউদ্দিন ও বাবুল হোসেন বলেন, এবছর পৌষের প্রথম দিকে তীব্র শীত অনুভ’ত হয়নি। কিন্তু গত কয়েকদিন মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে শীত পড়ছে। তাই বিক্রি বেড়েছে।
জজকোর্টের সামনের অপর বিক্রেতা জামাল মিয়া জানান, তিনি বছরের অন্য সময়ে ভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত থাকেন। শীতের সময় ঢাকা থেকে শীত বস্ত্র এনে তা বিক্রি করেন। আশা করছেন সামনের দিনে বিক্রি আরো বাড়বে।
শীতের কাপড় কিনতে আসা বাস চালক ইউনুস আলী বলেন, এসব স্থানে অল্প টাকায় বেশ ভালো শীতের কাপড় পাওয়া যায়। গায়ে দিতে যেমন আরামদায়ক এবং মানেও টেকসই হয়। তবে বেশ দেখে-শুনে এসব পোশাক কিনতে হয়। দিনমজুর সামসুদ্দিন বলেন, তিনি সবসময় এ স্থান থেকে শীতের পোশাক কিনে থাকেন। তাই স্ত্রী ও ছেলের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :