এক নজরে পাসের হার
যশোর ৬৯.৮৮; বরিশাল ৮০.৬৫; ঢাকা ৭৯.৪৪; রাজশাহী ৭৮.৪৬; কুমিল্লা ৭৫.৩৯; চট্টগ্রাম ৭৪.৪৫; সিলেট ৭১.৬২; দিনাজপুর ৭৪.৪৮; ময়মনসিংহ ৭০.৪৪; কারিগরি বোর্ড ৯১ দশমিক ২৫ ও মাদ্রাসা বোর্ড ৯০.৭৫
যশোর বোর্ডে এইচএসসির ফল বিপর্যয় ঘটেছে। এ বছর পাসের হার ৬৯.৮৮। যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২৩ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৩৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। এদের মধ্যে ৭৬ হাজার ৬১৬ জন পাস করেছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৮ হাজার ৫৮৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৬ হাজার ৩৪১, মানবিক বিভাগ থেকে ৭৬ হাজার ৫৮৬ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৯ হাজার ৩৩০ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৪ হাজার ৪৬২ জন পরীক্ষা দিয়ে ১০ হাজার ৯৪৫ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ১২২ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪ হাজার ৫১২, মানবিক বিভাগ থেকে ২ হাজার ৯৫৬ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৬৫৪ জন রয়েছে।
এর বাইরে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪ থেকে ৫ এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৬৮৭ ও মেয়ে ৩ হাজার ৫৫৮, জিপিএ-৩.৫ থেকে ৪ এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৬৭৬ ও মেয়ে ১ হাজার ৪৮৯, জিপিএ- ৩ থেকে ৩.৫ এর মধ্যে ছেলে ৭১০ ও ৫৫৩, জিপিএ-২ থেকে ৩ এর মধ্যে ছেলে ১০৪ ও মেয়ে ৫২ জন রয়েছে।
মানবিক বিভাগে জিপিএ-৪ থেকে ৫ এর মধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৬৬ ও মেয়ে ৯ হাজার ৪৭৯০, জিপিএ-৩.৫ থেকে ৪ এর মধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৫৩৬ ও মেয়ে ৭ হাজার ৫২৩, জিপিএ-৩ থেকে ৩.৫ এর মধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৭৭৭ ও মেয়ে ৬ হাজার ১৭, জিপিএ-২ থেকে ৩ এর মধ্যে ছেলে ছেলে ৪ হাজার ৪১ ও মেয়ে ২ হাজার ৮৪০ এবং জিপিএ-১ থেকে ২ এর মধ্যে ছেলে ৬২ ও মেয়ে ৩৩ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৪ থেকে ৫ এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৫৫০ ও মেয়ে ১ হাজার ৭৩৬, জিপিএ-৩.৫ থেকে ৪ এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৫৩১ ও মেয়ে ১ হাজার ৩০৪, জিপিএ-৩ থেকে ৩.৫ এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৪০৯ ও মেয়ে ১ হাজার ১০, জিপিএ-২ থেকে ৩ এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ১৩৩ ও মেয়ে ৫৭০ এবং জিপিএ-১ থেকে ২ এর মধ্যে ছেলে ৩৭ ও মেয়ে ১১ জন রয়েছে।
চার বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনার কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় ২০২০ সালে সকল পরীক্ষার্থীকে কৃতকার্য করে বোর্ড। ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৫.৮৩ ও ২০২২ সালে ছিল ৮৩.৯৫ শতাংশ।
পাসের হার কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডক্টর বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ রোববার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন,‘এ বছর সব বিষয়ে তিন ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে। এ কারণে পাসের হার কমেছে।’ জেলা ভিত্তিক ফলাফলে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুন্ডু, উপ কলেজ পরিদর্শক নিয়ামত এলাহী ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্টেনো নজরুল ইসলাম।
এদিকে, নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৬৯.৮৮ বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮০.৬৫, ঢাকা বোর্ডে ৭৯.৪৪, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮.৪৬, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫.৩৯, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪.৪৫, সিলেট বোর্ডে ৭১.৬২, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৪.৪৮, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭০.৪৪, কারিগরি বোর্ড ৯১.২৫ ও মাদ্রাসা বোর্ডে ৯০.৭৫ শতাংশ পাস করেছে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৭৮.৬৪। গত বছর এই হার ছিল ৮৫.৯৫। সেই হিসেবে গড় পাসের হার কমেছে ৭.২৭।
এ বছর জিপিএ-৫ অর্জনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৩৬৫ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩ শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে জিপিএ-৫ কমেছে প্রায় অর্ধেক। পাসের হারেও এগিয়ে ছাত্রীরা। তাদের পাসের হার ৮০.৫৭। আর ছাত্রদের পাসের হার ৭৬.৭৬।
১১টি বোর্ডের অধীনে এ বছর মোট ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন। পরীক্ষায় মোট ছেলে শিক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৩ জন; যার মধ্যে পাস করেছে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৯১৯ জন। পাসের হার ৭৬.৭৬ জন। অন্যদিকে মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯২ জন; যাদের মধ্যে পাস করেছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৩ জন। পাসের হার ৮০.৫৭ শতাংশ। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। যার মধ্যে ছাত্র ৪৩ হাজার ২৩ ও ছাত্রী ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন। ছেলেদের তুলনায় ৬ হাজার ১৩৫ জন মেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
Leave a Reply