May 18, 2024, 5:55 pm

সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক।।
করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক উল্লেখ করে এ সংকট মোকাবিলায় দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি : জনজীবনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বে এখন টালমাটাল অবস্থা। অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছু নিয়েই মানুষ আতঙ্কিত। এখন আবার তাইওয়ান-চায়না উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সেটির প্রভাব কিন্তু বিশ্বে পড়বে। পৃথিবীতে কী হতে যাচ্ছে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রয়োজনের বড় অংশ গ্যাসসহ ফুয়েলের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ফুয়েল উৎপাদনে প্রথম হচ্ছে ভেনিজুয়েলা, এরপর সৌদি আরব এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে এসব দেশ তেল সরবরাহ করতে না পারায় বিশ্বে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশও এর বাইরে নয়।

মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক এটা বঙ্গবন্ধুকন্যা কখনোই চান না। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, গ্রামগঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেকটি মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে। গ্রামের প্রায় সব রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে, ঘর না থাকলে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া যায় না। ভর্তুকি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সরকার কাকে ভর্তুকি দেবে? ধনীকে না গরিবকে? সবখানে ভর্তুকি দিলে অন্য খাতগুলো শৃঙ্খলা হারাবে। ভর্তুকি কোথায় দিতে হবে সরকার সেটি অ্যানালাইসিস করে তারপর দেয়।

মো. তাজুল ইসলাম জানান, অনেক উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমাদের দেশের অবস্থা এত খারাপ হলে তারা তো আমাদের সহযোগিতা করত না। একটি গ্রুপ বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হবে। কেন হবে? শ্রীলঙ্কা কী করেছে আর আমরা কী করছি? ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।

তিনি বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য করোনা মহাসংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছিল। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে পূর্ব থেকেই করোনার টিকা ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানতেন টিকার ক্রাইসিস দেখা দেবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে করোনা মোকাবিলায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে, এশিয়াতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের ৯০ শতাংশ মানুষ একাত্ম থাকলে আমরা যেকোনো সংকট মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন করবই। বর্তমান সংকট বৈশ্বিক তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় সংলাপে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি হিসেবে গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :