অনলাইন ডেস্ক।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিচারিক আদালতে দেয়া ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ওপর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, এ বছরের মধ্যেই শুনানি শেষ হবে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড পাওয়াদের রায় কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি আসামিরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। এরি মধ্যে ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স প্রস্তুত হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, সাজা পাওয়াদের মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৬ জন এখনও পলাতক। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, সাজা পাওয়াদের মধ্যে মুফতি হান্নান ও আলী আহসান মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। হারিস চৌধুরীও পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে লাগাতার গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন। আহত হন বহু মানুষ। সেদিন কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
গ্রেনেড হামলার পর সেদিনই টেলিফোনে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমার কর্মীরা জীবন দিয়ে আমাকে বাঁচিয়েছে। গ্রেনেড যখন বিস্ফোরিত হচ্ছিলো, তখন নেতা-কর্মীরা আমাকে ঘিরে রেখেছিলো। তাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। এখনও আমার কাপড়ে তাদের রক্ত লেগে আছে’।
Leave a Reply