June 26, 2024, 9:15 pm

ইচ্ছেমতো ভাড়া, শীর্ষে ইকোনো, ঢাকা এক্সপ্রেস, লাল সবুজ, হিমাচল

রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। আজ শেষ দিনও প্রিয়জনদের সঙ্গে কোরবানি ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়ছেন রাজধানীবাসী।

আজ রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর কমলাপুর ও আরামবাগ এলাকার বাস কাউন্টারে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

এ সুযোগে প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড় পুঁজি করে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।

ভাড়া বেশি নেওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটের ‘ইকোনো পরিবহন’ ও ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’। একই অভিযোগ রয়েছে ঢাকা-নোয়াখালী রুটের ‘লাল সবুজ’ ও ‘হিমাচল’ পরিবহনের বিরুদ্ধে।

আরামবাগ, কমলাপুর, টিটি পাড়া, মানিক নগর ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীদের অভিযোগ, কয়েকটি পরিবহনে ভাড়া বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্র করে এই রুটে বাস মালিকরা ইচ্ছে মতো ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রী হয়রানী করেন। প্রতি টিকিটে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয় কাউন্টারগুলো থেকে। বিশেষ করে ইকোনো ও ঢাকা এক্সপ্রেস ৫৫০ টাকার টিকিট আজ (রোববার) ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছে।

একই অভিযোগ, নোয়াখালী রুটের বাস কোম্পানি মালিকদের বিরুদ্ধেও। এই রুটের বাস ‘লাল সবুজ’ ও ‘হিমাচল’ পরিবহনও নির্ধারিত ভাড়া থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করেছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

সায়েদাবাদ হুজুর বাড়ি এলাকা থেকে ইকোনো পরিবহনের বাস যাত্রী সোহাগ বলেন, ঈদ এলেই বাড়তি ভাড়ার বোঝা নিয়ে বাড়ি যেতে হয় আমাদের। কয়েক সপ্তাহ আগেও ইকোনো পরিবহনে যে টিকিট ৫৫০ টাকা ছিল, সে টিকিট আজ ৮০০ টাকায় নিতে হলো।

আরামবাগে ‘লাল সবুজ’ বাস কাউন্টারে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রী বলেন, শুক্রবার ভাড়া বেশি ও ভিড় হবে এ চিন্তায় যাইনি। অথচ আজ রোববার (১৬ জুন) ঈদের আগের দিন উল্টো ভাড়া আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

‘ইকোনো’ কাউন্টারের ম্যানেজার বলেন, ‘যে বাসগুলো এখন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে, এই বাসগুলো ঢাকায় আসার পথে খালি আসবে। সে কারণে তেলের টাকা ওঠানোর জন্য ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। কিছু যাত্রী আবার খুশি হয়ে বকশিস দিচ্ছেন।’

আরামবাগ ‘লাল সবুজ’ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, ‘আমরা তো কম রেখেছি। অন্যরা তো আরো বেশি রাখছে।’

তার দাবি, বছরের অন্যান্য সময় মূল্য তালিকার চেয়ে ভাড়া কম রাখা হয়। সে কারণে ঈদে তারা সামান্য বেশি ভাড়া নিয়ে থাকে।

এদিকে, রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা যাত্রী হয়রানি বন্ধে বাস মালিক সমিতি ও বিআরটিএ’র কাউকে দেখা যায়নি।

যাত্রীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় বাস মালিকেরা যে যার মতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :