June 30, 2024, 9:12 pm

অবৈধ বিয়ের মামলায় ইমরান খানের আপিল খারিজ ইমরান খান ও বুশরা বিবি

অনলাইন ডেস্ক।।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবির অবৈধ বিয়ের মামলায় সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা আপিল খারিজ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের একটি জেলা ও সেশন আদালত এই রায় দিয়েছেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইমরান খান বুশরা বিবিকে বিয়ে করেন। তার কয়েক মাস পরেই ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।

কিন্তু অন্যান্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের মতো তিনিও মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল বিরোধী এমপিদের অনাস্থা ভোটে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন, তখনও তার মেয়াদের দেড় বছরের বেশি সময় বাকি ছিল।
ইমরান ও বুশরার বিয়ের পর বুশরার সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা এই বিয়ে অবৈধ দাবি করে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বুশরার সঙ্গে খাওয়ার মানেকার আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে।

এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইমরান খান বুশরাকে বিয়ে করেন।
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, বিবাহবিচ্ছেদ বা স্বামীর মৃত্যুর পর মুসলিম নারীদের নতুন বিয়ের আগে ৩ মাস অপেক্ষা করতে হয়, যাকে বলা হয় ‘ইদ্দত’। খাওয়ার মানেকার অভিযোগ, ‘ইদ্দত’ পূর্ণ হওয়ার আগেই ইমরান খান বুশরাকে বিয়ে করেন, ফলে এই বিয়ে অবৈধ।

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় মামলাটি স্থগিত ছিল, তবে ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মামলা পুনরায় শুরু হয়।

২০২৩ সালে বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে, যাতে ইমরান ও বুশরাকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই রায় বাতিলের জন্য ইমরান খানের আইনজীবীরা ইসলামাবাদের জেলা ও সেশন আদালতে আপিল করেন। আজ বিচারক আফজাল মাজোকা এই আপিল খারিজ করে দেন।

রায় ঘোষণার পর ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ হতাশা প্রকাশ করেছে। দলের মুখপাত্র সৈয়দ জুলফিকার বুখারি এই রায়কে ‘হাস্যকর’ ও ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে বলেন, আজ পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থার জন্য একটি কালো দিন।

ক্ষমতাবানরা যখন বিচারব্যবস্থাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে, তখন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। সূত্র : জিও

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :