July 4, 2024, 3:15 am

রেল করিডোরসহ বিভিন্ন সমঝোতা অল্প সময়ের মধ্যে ভারতের ওপর নির্ভরশীল হবে বাংলাদেশ : মির্জা ফখরুল

ভারতের সাথে রেল করিডোরসহ যেসব সমঝোতা চুক্তি করা হয়েছে তার মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভারতের সাথে রেল করিডোরসহ বিভিন্ন সমঝোতা সম্পর্কে সরকার জনগণের কাছে মিথ্যাচার করেছে। তারা (সরকার) আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের কাছে কখনো সত্য কথা বলেনি। সব সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে তারা বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। আজকে যেসব সমঝোতা-চুক্তি সই করে এসেছে এর মধ্যে পরিস্কার করে বলা আছে যে, এই সব সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতাগুলোর অর্থই হচ্ছে যে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে নির্ভরশীল করে ফেলবে ভারতের কাছে, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনিযুক্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আইনজীবীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের সাথে সমঝোতার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক যেটা, সেটি হচ্ছে- রেল করিডোর দিচ্ছে। এই রেল করিডোর বাংলাদেশের কোনো কাজে লাগবে না। বাংলাদেশের মাটিতে তারা রেল লাইন ব্যবহার করবে, সেখানে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ নেই। অন্যান্য বিষয়গুলো- আকাশ-স্থল-নৌপথ সবখানে তারা (সরকার) আজকে তাদেরকে (ভারত) পার্টানারশীপে দিয়ে দিয়েছে। যদিও পার্টানারশীপে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কানেক্টিভিটিতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু এর বিনিময়ে বাংলাদেশ কি পেলো? সেটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান বিষয়। আমরা তো এখানে কিচ্ছু পাইনি।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্য্যায্য হিৎসা, সেই পানি আমরা পাইনা, তিস্তা নদীর পানি আমরা পাইনি। আমাদের সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি আছে, তার জন্যে সেখানে স্বচ্ছ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এই অবৈধ সরকার আজকে চক্রান্ত করছে যে, বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে ফেলার।

হোলি আর্টিজেন দিবসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, হোলি আর্টিজেনের বিষয়টা আমরা কনডেম করেছি, যেকোনো ধরণের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা, আমরা আন্তর্জাতিক-জাতীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এরা যেটা করেছে, এই সরকার যেটা করেছে, তারা জঙ্গিবাদের নাম করে তাদের বিরোধী পক্ষকে হয়রানি করেছে, তাদেরকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদেরকে কারাগারের নিক্ষেপ করেছে।

এ সময়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৯ জুন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক এটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী মারা গেলে সেই পদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। দায়িত্বভার নেয়ার পর তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠান।

জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন সভাপতি অ্যাডভেকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার এসেছি, আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেছি।

তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আমরা আজকে শপথ নিয়েছি। ইনশাল্লাহ অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমরা চেষ্টা করবো বিচার বিভাগের মাধ্যমেই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য এবং সেজন্য সকল আইনজীবীরা প্রস্তুত হয়ে আছে। ইনশাল্লাহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং আমরা আল্লাহর রহমতে সাকসেসফুল হবো।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :