April 29, 2024, 12:39 am

চলো বদলে যাই!

রাশিদা- য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।

বেলকুনিতে ফুটে থাকা ফুল, ফল বা সবজি সংসারের খাদ্য চাহিদা মেটাতে না পারলেও মনের চাহিদা ও পরিপূর্ণ তৃপ্তি অনায়াসে আনয়ন করে।
একটি গাছ চারা থেকে বড় হয় তা থেকে ফসল উৎপন্ন হয়, প্রতিদিন এক বেলা হলেও গাছটিকে পানি দেওয়া হয় কখনো পরিচর্যা তাতে ফল লাভ অনেকটা সন্তানের মত! অনেকে নিসন্তান থেকেও সন্তান লাভের তৃপ্তি খুজে পান, সংসারের অশান্তির মাঝে- নিঃসঙ্গতার মাঝেও একটা লম্বা নিঃশ্বাস নিতে পারেন তাতে করে শ্বাস যন্ত্রটির কিছুটা হলেও সুস্থ থাকার উপলক্ষ পায়! আবার হতে পারে বৃদ্ধ, অবসরপ্রাপ্ত, বিধবা বিপত্নীক অথবা জীবনের যে কোন পর্যায়ে- দৈনন্দিন জীবনের পাশাপাশি বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বৃক্ষরাজি!
পূর্বে ও সর্বজনবিদিত ছিল বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অনস্বীকার্য।

বর্তমানে ছাদ কৃষি ও আঙিনা কৃষি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে শহর এবং নগরবাসী জনপদের নিকট। যাদের গ্রামে থাকা বা গ্রামীণ জীবন উপভোগের তেমন কোন সুযোগ নেই তাদের ক্ষেত্রে সারা বছর প্রাণের ছোঁয়া জাগাতে অকৃত্রিম এই উদ্যোগ ও প্রাণবন্ত মাধ্যম। অনেকে নিজ বাড়ির ছাদে বা উঠানে আনন্দ বিনোদের সঙ্গে সঙ্গে সাংসারিক চাহিদা মেটাতে পারছে ছাদ কৃষি বা আঙিনা কৃষি। কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসাবেও পরিচালিত করছে। অনেকেই ছাদে মাছ, মুরগি, কবুতর ইত্যাদি প্রতিপালন করছে। প্রতিবছর তাতে খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থ উৎপাদনের উপায় বা মাধ্যম হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।

যুবসমাজ বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করার পরেও ভালো চাকরির আশায় দীর্ঘমেয়াদি বেকার থাকতে হচ্ছে, বেকারত্ব অথবা অর্থ উপার্জনের উত্তম কোন সংস্থান না করতে পেরে নিজ বাস্তভিটায় ফিরে কৃষি উৎপাদনমুখী চাষাবাদ করে বড় বড় উদ্যোক্তা হতে পারছে। এতে করে বেকার সমস্যা দূরীকরণে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ এখন ভাবতে শুরু করেছে চাকরি করে মাসোয়ারা হিসাবে ঘর ভাড়া গুনে বন্দি জীবন থেকে ভালো উন্মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে, পরিচ্ছন্ন মুক্ত আলো আবহাওয়ায় নির্মল বাতাসে সবুজের মাঝে বেঁচে থাকতে; এবং স্বাধীনভাবে উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে মন্দ নয়! ইতিমধ্যেই কৃষি বিপ্লব ছড়িয়ে পড়েছে দেশে ও বিদেশে-বিশ্বায়নের এই যুগে আসুন “বদলে যাই- বদলে দেই” সফলতা অর্জন করুক মানুষ, দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা!
২০২২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :