April 28, 2024, 5:18 pm

মাদারীপুরে ঘরে পুড়লো দুই শিশু, পালালো মা ও নানী

দৈনিক পদ্মা সংবাদ।
দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। www.padmasangbad.com

মাদারীপুর সদর উপজেলা ঝিকরহাটি গ্রামে ছিটকিনি বদ্ধ ঘরের ভেতরে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া দুই শিশুর পরিচয় জানা গেছে।

তবে ঘটনার পর থেকে দুই শিশুর মা ও নানী পলাতক রয়েছেন।

দুই শিশুর মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যা কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উত্তর ঝিকরহাটি এলাকায় আগুনে পুড়ে দুই শিশু মারা যায়।

ঘটনার পর থেকে শিশুর মা পলাতক থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে পুলিশ নিহত শিশুদের পরিচয় উদঘাটন করে।

নিহত শিশুরা হলো, রুদ্র বৈদ্য (৩) ও মানত বৈদ্য (২)। তারা সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের মানিক বৈদ্য ও পূর্ণিমা বৈদ্যর ছেলে।

ঘটনার পর থেকেই দুই মা পূর্ণিমা বৈদ্য পলাতক রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটমাঝি ইউনিয়নের উত্তর ঝিকরহাটি এলাকার বাসিন্দা মাওলা মাতুব্বরের বাড়িটি গত দুই মাস আগে ভাড়া নেয় সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ভ্যান চালক মানিক ও পূর্ণিমা দম্পতি। মানিক ও তার স্ত্রী পূর্ণিমার মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়াঝাটি হতো। গত পনের দিন আগে মানিক বৈদ্য একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হন।

এরপর থেকে এ ভাড়া বাড়িতে মানিকের স্ত্রী পূর্ণিমা, তার শাশুড়ি ও ২ ছেলে শিশু সন্তান থাকতো।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে প্রতিবেশীরা বাসা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। পরে তারা এসে ঘরের দরজা খুলে আগুন নেভায়। এসময় তারা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক শিশুকে মৃত অবস্থায় ও আরেক শিশুকে আহত অবস্থায় দেখতে পায়। আহত শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী হাজী মোহাম্মদ বাদল মাতুব্বর বলেন, আমি প্রথমে আগুন দেখে দৌড়ে এসে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকি। ভেতরে শুধু ধোঁয়া আর আগুন ছিলো। ঘরের ভেতরে একটি শিশুকে আহত অবস্থায় পেয়ে আমরা হাসপাতালে পাঠাই। আগুন নেভানোর পরে আরেকটি বাচ্চাকে আগুনে পোড়া অবস্থায় দেখতে পাই।

আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের নগরীতের পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নূর মোহাম্মাদ শিকদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার করা দুই শিশুর একজনকে ঘটনাস্থলেই মৃত পাওয়া যায়। আর একজনকে সদর হাসপাতালে পাঠালে সেখানে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

একাত্তর/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :