April 28, 2024, 10:22 pm

যাত্রীর ফেসবুক লাইভে প্লেন বিধ্বস্তের ভিডিও

নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তের ভিডিও রয়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, যাত্রীরা উড়োজাহাজের ভেতরে বসে আছেন। যিনি ভিডিও করছেন তিনিসহ উড়োজাহাজের অন্যান্য যাত্রীরা উৎফুল্ল। জানালা দিয়ে নিচে শহর দেখাচ্ছিলেন ভিডিওধারণকারী যাত্রী। এ সময় হঠাৎই বিস্ফোরণে মোবাইল ফোনের পর্দা কেঁপে ওঠে। যাত্রীর হাত থেকে হয়তো এ সময় ছিটকে পড়ে মোবাইল ফোনটি। কারণ ততোক্ষণে ভিডিওর ওলট-পালট অবস্থা।

ভিডিওর শেষ কয়েক সেকেন্ডে দেখা গেছে, জানালার বাইরে ভয়াবহ আগুন জ্বলছে। এ সময় যাত্রীদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, উড়োজাহাজটিতে ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘাজিপুরের ৫ বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে সনু জইশওয়াল নামের একজন উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় তিনিও মারা গেছেন।

নেপালের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য এবং নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অভিষেক প্রতাপ শাহ এনডিটিভির কাছে ভিডিওটি পাঠিয়েছিলেন।

এনডিটিভিকে অভিষেক বলেন, এক বন্ধুর কাছ থেকে তিনি ফুটেজটি পেয়েছেন। গতকাল উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে ওই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

রোববার উড়োজাহাজটির অবতরণের আগমুহূর্তে ধারণ করা ভিডিও বলে দাবি করেন অভিষেক।

নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী প্লেন এটিআর-৭২ পোখারা বিমানবন্দরে নামার আগে সেতি গন্ডকি নদীর ধারের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। এটি নেপালের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়।

বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। এয়ারলাইন্সটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্লাইটে ১৫ জন বিদেশি যাত্রী ছিলেন। এর সঙ্গে ছয় শিশু ছিলো। আরোহীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপাল, পাঁচজন ভারত, চারজন রাশিয়া, দু’জন কোরিয়ার এবং আর্জেন্টিনা, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন।

নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :