April 27, 2024, 9:50 pm

চুয়াডাঙ্গায় বাজার মনিটরিংয়ে জেলা প্রশাসন

পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ক্রয় ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে চুয়াডাঙ্গায় বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে জেলা প্রশাসনের তদারকি টিম।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার, নীচের বাজার ও নিউ মার্কেট এলাকায় বাজার মনিটরিং করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ, জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযানে মাছ, মাংস (মুরগী, গরু, খাসি) ভোজ্য তেল, চিনি, খেজুর, চাউল, সকল প্রকার সবজি, মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা প্রদর্শিত আছে কিনা, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার মজুদ আছে কিনা এবং পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি কেমন আছে তদারকী করা হয়।
প্রতিটি ব্যবসায়ীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অনুরোধ ও সচেতন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গরুর মাংস ৭০০ টাকা ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা (ছাগী ৮০০ টাকা) সকল প্রকার মুরগীর ক্রয়মুল্য থেকে কেজি প্রতি ১০ টাকা মুনাফায় বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সংকট নেই। বাজারে রমজানের প্রয়োজনীয় সব পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেনো কৃত্রিমভাবে কোনো সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করতে না পারে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখব। যে জিনিসের চাহিদা বেশি থাকে সে জিনিসের দাম স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। সে জন্য ক্রেতাদের ক্ষেত্রেও আমাদের পরামর্শ থাকবে অপ্রয়োজনে কোনো জিনিস বা দ্রব্য বেশি পরিমাণে না ক্রয় করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক, স্বাভাবিক, স্থিতিশীল এবং সরবারহ নিশ্চিত করতে এ ধরনের তদারকি অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :