দুই ছেলে, দুই মেয়েকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বড় করেছিলেন। গান শুনিয়ে ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। সেই মা আজ খোলা আকাশের নীচে শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছেন। কিন্তু কোনও ছেলে মেয়ে তাঁর খোঁজ পর্যন্ত নেন না। শুয়ে শুয়ে অঞ্জলিদেবী বলেন, “একটু মুড়ি আর তরকারির আশায় এখানে পড়ে রয়েছি। শরীর আড়ষ্ট হয়ে এসেছে। ছেলেদের, নাতিদের দেখতে মন চায়। কেউ খোঁজও নেন না।”
জানা গিয়েছে, প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস শিয়ালদহর কাছে নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাইরে বসে রয়েছেন অঞ্জলি দেবী। এখন এতোটাই অসুস্থ যে, নিজে উঠে বসতেও পর্যন্ত পারেন না। ফুটপাতটাই বলা যায় এখন তাঁর ঘর -বিছানা। নীলরতন মেডিক্যাল সরকার হাসপাতালের বাইরে খোলা আকাশের নীচে শুয়ে থাকেন তিনি।
জানা গিয়েছে, সোদপুরের সি ব্লকে তাঁর বাড়ি ছিল। এর থেকে বেশি কিছু মনে করতে পারছেন না তিনি। দুটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে রয়েছে তাঁর। ছেলেরা প্রত্যেকেই আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। বৃদ্ধার দাবি, বাড়িতে বৌমারা খুব অত্যাচার করত। ছেলেরা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁকে। ৮০ বছরের বৃদ্ধা ৯ মাস আগে বাড়ি থেকে চলে এসেছেন।
এই মুহূর্তে খুব অসুস্থ তিনি। হাসপাতালের আরেক ভবঘুরে মেয়ে ওই বৃদ্ধাকে মায়ের মতো করে সেবা করছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য ওষুধও এনে দিচ্ছে ওই মেয়েটি। তিনি নিজেই বলেন, তাঁর মতো বহু অসহায় বাবা-মা এইরকমই ফুটপাতে এখনও পড়ে রয়েছেন। বাড়ি ফিরে যাওয়ার আর ইচ্ছে নেই। কারণ ওঁরা কেউ আর মনে রাখেননি। এই শীতে আপাতত তাঁর ঠিকানা ফুটপাত৷
সুত্রঃ নিউজ এইটটিন বাংলা।
Leave a Reply