April 25, 2024, 12:38 am

অনুমতি ছাড়া পিকনিক না

এখন থেকে অনুমতি ছাড়া যশোরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জেলার বাইরে পিকনিক কিংবা শিক্ষা সফর করতে পারবে না। জেলার বাইরে পিকনিক করতে হলে মানতে হবে সাতটি শর্ত। দুর্ঘটনা রোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যশোরের শিক্ষা বিভাগ।
শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ২০১৭ সালের এই সংক্রান্ত পরিপত্র প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পরিপত্রের শর্ত হচ্ছে, যে কোনো সফরে যাওয়ার আগে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত গাড়ির ফিটনেস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতা নিশ্চিত করবেন। আনন্দ ভ্রমণের স্থান সম্পর্কে পূর্বেই শিক্ষার্থীদেরকে সম্যক ধারণা দিতে হবে। ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সম্মতিপত্র গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক দায়িত্বশীল শিক্ষক সঙ্গে থাকবেন এবং গাড়ি চালক যাতে গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে সাবধানতার সাথে গাড়ি চালান তার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। শিক্ষা সফর, পিকনিক বা কোনো উৎসব অথবা এ জাতীয় কোনো আনন্দ ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার পূর্বে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে হবে ও স্থানীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে সকল বিধি বিধান আছে তা সকলকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
যশোরের বাঘারপাড়ার বাঁকড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও অর্ধশত আহতের পর শিক্ষা বিভাগ থেকে পাঁচ বছর আগের ওই পরিপত্র সামনে আনা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জারি করা ওই পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন। যার স্মারক নম্বর ছিল ৩৭.০০০০.০৭২.০৬.০১৯.১৩.৯৯।
এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে বিভিন্ন এলাকায় পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটে আসছে। এ কারণে যশোরের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে পিকনিকে বাইরে যাওয়ার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপের দাবি উঠেছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, সড়কের যে অবস্থা তাতে করে একেবারেই শিশুদের নিয়ে বাইরে পিকনিকে না যাওয়ায় ভালো। তবে, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা জেলার মধ্যে পিকনিক করতে আগ্রহী হয় না বলে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের চাপে পড়ে তারা জেলার বাইরে যেতে বাধ্য হন।
এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটায় ২০১৭ সালের পরিপত্র ফের সামনে আনা হয়েছে। যা দুর্ঘটনা রোধে ভূমিকা রাখবে। ইতিমধ্যে ওই পরিপত্র সব স্কুলে পাঠানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পরিপত্রের আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :