April 30, 2024, 5:39 pm

ইসরায়েল থেকে খালি বিমান এসেছিল বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে

ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে আসা একটি উড়োজাহাজ ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে অবতরণ করে। ইসরায়েল থেকে কেন সরাসরি ফ্লাইটটি ঢাকায় এলো, এই প্রশ্ন সবার মনে। ফ্লাইটের অবতরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে যে ফ্লাইট এসেছিল, সেটি অপারেট করেছে ন্যাশনাল এয়ারলাইনস। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি তেল আবিব থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টায় উড়ে ঢাকায় আসে।

সম্পর্কিত খবর
ট্রেনের ফিরতি যাত্রা শুরু, যাত্রীর চাপ নেই
ইসরায়েল থেকে সরাসরি ঢাকায় ফ্লাইট অবতরণের কারণ জানাল বেবিচক
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ধর্মমন্ত্রী
এর আগেও বাংলাদেশে ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এসেছিল। বিভিন্ন সময়ে কার্গো পণ্য নিতে এয়ারলাইনসটির উড়োজাহাজ বাংলাদেশ আসে। মূলত, ইসরায়েলে পণ্য নামিয়ে খালি বিমান এসেছিল বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে, যা মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হবে।

হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি মূলত ফেরি ফ্লাইট ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের এই এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি সে দেশেই নিবন্ধিত। ইসরায়েল থেকে ফ্লাইটটি এলেও কোনো পণ্য বা যাত্রী ঢাকায় আসেনি। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক নিতে এসেছিল কার্গো ফ্লাইটটি।

তিনি বলেন, ফ্লাইটটি সরাসরি তেল আবিব থেকে এসেছে। ওই কার্গো বিমান যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ওপেন স্কাই বিকল্পসহ বিমান পরিষেবা চুক্তি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কার্গো ফ্লাইটগুলো ঢাকা বিমানবন্দরে কিছু ফেলেনি, বরং শুধু আরএমজি শিল্প থেকে শারজাহ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় গন্তব্যে পোশাক নিয়ে গেছে। দুটি শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দুটি বিমান পরিদর্শন করেছেন। দেশটির যেকোনো এয়ারলাইনস বাংলাদেশে আসতে পারবে, একইভাবে বাংলাদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবে। ন্যাশনাল এয়ারলাইনস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হওয়ায় বাংলাদেশে আসতে কোনো বাধা নেই।

এদিকে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি পরিষ্কার যে, ওই ফ্লাইটের ঢাকায় অবতরণ এবং মালামাল নিয়ে যাওয়া রুটিন কাজেরই অংশ। যদি সরাসরি ইসরায়েল থেকে ঢাকায় না আসত, তাহলে হয়ত কেউ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারত না।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরায়েল ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আছে। খুব বেশিদিন আগে নয়, কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশি পাসপোর্টে লেখা ছিল, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’। জাতিসংঘভুক্ত যে ২৮টি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :