April 16, 2024, 10:37 pm

এবার ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক।
এবার বন্ধ হলো অলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপলিকেশনস (অ্যাপ)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজেদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধের ঘোষণা দেয়। শনিবার বিকাল থেকে সাময়িকভাবে এসব বন্ধ করা হয়েছে ।

ফেসবুকে গ্রাহকদের জন্য দেওয়া ওই জরুরি নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সম্মানিত গ্রাহক, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে দেশের অনলাইন কেনাকাটাকে সবার হাতের মুঠোয় নিয়ে যেতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি অবিরাম। আমরা এ কাজকে এগিয়ে নিতে চাই। চাই আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে চালিয়ে যেতে। আর এ সুযোগ পেলে সকলের সব ধরনের অর্ডার ডেলিভারি দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাম, আছি, থাকবো।’

‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আমাদের সকল এমপ্লয়িরা শঙ্কার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন। আমাদের সম্মানিত সিইও এবং চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় আমাদের ব্যাংকিং-ও সাময়িকভাবে বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভারসহ, অফিসের খরচ চালানো এবং আমাদের এমপ্লয়িদের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়গুলোতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আমাদের উকিলের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত সিইও’র বক্তব্য হলো- সুযোগ এবং সময় পেলে আমাদের পক্ষে চার মাসের মধ্যেই সকল জটিলতা গুছিয়ে উঠা সম্ভব। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুনরায় দ্রুত সার্ভার চালু করে দেওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

ওই পোস্টে আরও বলা হয়, ‘গ্রাহক ও সেলারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট। দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হতে আমাদের এই যাত্রায় আমরা আপনাদের পাশে পেয়েছি সবসময়। আপনাদের এ ভালোবাসায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ। সামনের দিনগুলোতেও আমরা এভাবে আপনাদের পাশে চাই। আপনাদের ভালোবাসার শক্তি আমাদের অদম্য পথচলার প্রেরণা। ইভ্যালির পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’

এদিকে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কোটি কোটি টাকা পাওনা থাকা গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের মধ্যে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা।

২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করা ইভ্যালি পণ্যের দামে অর্ধেক ছাড়ে মতো অফার দিয়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। নজরকাড়া অভিষেক হলেও শুরুর কিছুদিন পর থেকেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হবার অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। বছর যেতে না যেতেই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ জমে পাহাড় হতে থাকে। অগ্রীম টাকা পরিশোধের পরও নির্ধারিত কার্যদিবসে পণ্য না দিয়ে গ্রাহকদের মাসের পর মাস ভোগাতে থাকে ইভ্যালি। বার বার তাগাদা দিয়েও অসংখ্য গ্রাহক এর সমাধান পাচ্ছিলেন না। অবশেষে গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন এক গ্রাহক। ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর কয়েক দফা রিমান্ড শেষে এখন তারা কারাগারে আছেন তারা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও মার্চেন্ডদের কাছে হাজার কোটি টাকার বেশি দেনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :