April 19, 2024, 1:43 pm

গারো নারীর কলাবাগান কেটে দিলো বন বিভাগ

অনলাইন ডেস্ক।
টাঙ্গাইল বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামাল তালুকদার বলেন, ওই জমি বন বিভাগের মালিকানাধীন
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় গারো নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীর কলাবাগান কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনার প্রতিবাদে গোষ্ঠীটির সদস্যরা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে।
নৃগোষ্ঠীটির নেতারা বলেন, মধুপুর গড় এলাকার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারি গ্রামে বাসন্তী রেমা প্রায় ৫০ শতংশ জমিতে চাষ করে আসছেন। এ বছর তিনি ওই জমিতে কলার চাষ করেছেন। বন বিভাগ ওই জমি তাদের দাবি করে সেখানে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নেয়। সোমবার বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ওই জমিতে গিয়ে বাসন্তী রেমার লাগানো সব কলাগাছ কেটে ফেলে।
এ খবর শুনে পেগামারি ও আশেপাশের গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন ওই জমিতে জড়ো হয়ে গাছ কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে। পরে দুপুরে বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জ অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জন যেত্রা জানান, বংশপরস্পরায় মধুপুর বনের মানুষেরা এসব জমি চাষবাস করে আসছেন। কাগজপত্র না থাকলেও এ জমির ওপর তাদের ঐতিহ্যগত অধিকার রয়েছে। তাই এভাবে ফসলি জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো অমানবিক।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামাল তালুকদার বলেন, ওই জমি বন বিভাগের মালিকানাধীন। সামাজিক বনায়ন করার জন্য সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
সুত্র : ঢাকা ট্রিবিউন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :