May 4, 2024, 6:32 am

ডিপিআই বাস্তবায়নে ‘৫-এ-৫০’ প্রচারাভিযানে যোগ দিল বাংলাদেশ

নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আন্তঃপরিচালনাযোগ্য পদ্ধতিতে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ১১টি ফার্স্ট মুভার দেশের একটি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘ফিফটি-ইন-ফাইভ’ ক্যাম্পেইনে যোগদান করেছে। আজ এখানে এটুআই’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০টি দেশের মধ্যে ডিজিটাল আইডি, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম ও ডেটা শেয়ারিং ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বুধবার সন্ধ্যায় ‘ফিফটি-ইন-ফাইভ’ প্রচারাভিযানটি ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করা হয়।
জাতিসংঘ, বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, কো-ডেভেলপ ও অন্যান্যের সাথে অংশীদারিত্বে, ‘ফিফটি-ইন-ফাইভ’ প্রচারাভিযানটি ডিপিআই রোলআউটের জন্য সর্বোত্তম অনুশীলনের বিষয়ে সহযোগিতা এবং জ্ঞান ভাগাভাগির লক্ষ্যে উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশকে একত্রিত করেছে। এই যুগান্তকারী প্রচারাভিযানটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে ডিপিআই’র উন্নয়নে একটি রূপান্তরমূলক অধ্যায় চিহ্নিত করে। এস্তোনিয়া, ইথিওপিয়া, গুয়াতেমালা, মলদোভা, নরওয়ে, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও টোগোর পাশাপাশি বাংলাদেশ এই প্রচারণায় যোগ দিয়েছে।
ক্যাম্পেইনটি ডিজিটাল পাবলিক গুডস (ডিপিজি)সহ শিক্ষণ, সর্বোত্তম অনুশীলন ও উদ্দেশ্য-ভিত্তিক নির্মিত প্রযুক্তি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ডিপিআই বাস্তবায়নের যাত্রা আমূল সংক্ষিপ্ত করতে বিভিন্ন দেশকে একত্রিত করেছে, যা শেষ পর্যন্ত খরচ কমাবে এবং এবং প্রভাব সর্বাধিক করবে। ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হলো: ২০২৮ সালের শেষ নাগাদ পাঁচ বছরের মধ্যে অন্তত একটি ডিপিআই উপাদানকে সুরক্ষিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও আন্তঃপরিচালনাযোগ্য পদ্ধতিতে ডিজাইন, বাস্তবায়ন, ও স্কেল করা যায়। ক্যাম্পেইনটি এ লক্ষ্যে একত্রে কাজ করতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেয়।
বাংলাদেশের জন্য ‘ফিফটি-ইন-ফাইভ’ উদ্যোগে ফার্স্ট-মুভার দেশ হওয়া ডিজিটাল সহযোগিতা গ্রহণের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার সময় অন্যদের কাছ থেকে শেখার সাথে জড়িত, যার ফলে দেশের ডিজিটাল জনঅবকাঠামোর উচ্চাকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে অবদান রাখা এবং অন্য দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়া যাবে। এ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সমস্ত দেশের জন্য কাঠামো, জ্ঞান ও প্রযুক্তি সুবিধা সুগম করে, আরও উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তুলতে চায়। বাংলাদেশ এই প্রচারণার মাধ্যমে ডিজিটাল জনঅবকাঠামোর অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকারী হতে এবং সক্রিয়ভাবে অবিভাজিত ডিজিটাল বিশ্ব বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :